ভিড়োমিটারে ২৫ ডিসেম্বরের পার্কস্ট্রিট আগে নাকি, ৩১ ডিসেম্বরের দিঘার সৈকত আগে, তা নিয়ে জোর বিতর্ক হতেই পারে! বর্ষশেষের আনন্দে গা ভাসাতে অনেকেই সৈকতকে বেছে নিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে দিঘার সৈকতের ভিড় , জমায়েতে কড়া প্রহরা ছিল প্রশাসনের। করোনাকালে কোনও রকমের বিধি ভঙ্গ হলেই তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই দিঘায় মাইকিং এ প্রচার চালানো হয়েছে করোনা বিধি পালন নিয়ে। ভিড় এড়াতে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। বিধি যাতে মানা হয়, তার জন্য সচেষ্ট প্রশাসন। আর বিধি মান না হলেই, রেয়াত করার কোনও জায়গা রাখছে না স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার , করোনা বিধি লঙ্ঘন করায় দিঘায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ প্রশাসন। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে এই ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ব্যক্তিগত জামিনে ওই ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়, তাঁরা প্রত্যেকেই পর্যটক বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, ব্যাপক ভিড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে সঠিকভাবে বজায় রাখা যায়, তার ওপর জোর দিয়েছে প্রশাসন। বহু জায়গায় মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে জোরদার নাকা চেকিং। এছাড়াও ড্রোনের সাহায্যে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
করোনা পরিস্থিতির মাঝে সৈকত নগরীতে ভিড় কার্যত প্রশাসনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। বর্ষবরণের শেষবেলায় অনেকেই দিঘা, মন্দারমনি, শঙ্করপুরকে বেছে নিয়েছেন আনন্দে গা ভাসানোর জন্য। তবে প্রশাসনের কাছে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রেখে বর্ষবিদায়ের মেজাজকে অক্ষুণ্ণ রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বহুবার প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সচেতনতার জন্য বহু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হোটেলগুলিকেও এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে তারই মাঝে করোনা পরিস্থিতি ক্রমাগত রাজ্যে রক্তচক্ষু দেখাতে শুরু করে দেওয়ায়, ত্রাস বাড়ছে রাজ্য জুড়ে।