ফের রাজনৈতিক চর্চার ইন্ধন দিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার উপমুখ্যসচেতক তাপস রায়। বরানগরে প্রকাশ্য জনসভায় নেতা কে তার ব্যাখ্যা করলেন তিনি।
তৃণমূল বিধায়কের কথায়, ‘‘নেতা হওয়া অত সহজ কথা নয়। বললেই হয় না। আমরা যেমন, নেতা না কি? রাজনৈতিক পদাধিকারি, রাজনৈতিক কর্মী। নেতা-নেত্রী হলেন তিনি, যিনি দূরদৃষ্টি দিয়ে আগামীটা দেখেন। নেতা সে-ই।’’ তাই তাঁর পরামর্শ, ‘‘সকলকে নেতা ভাববেনও না, সকলকে নেতা বলবেনও না। নেতা বড় কঠিন শব্দ।’’
কিছু আগেই তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র বরানগরেই রাজনৈতিক কর্মীদের অবসর প্রসঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ সব কাজেই তো অবসরের বয়স রয়েছে। রাজনীতিতে কেন থাকবে না? আমি মনে করি, রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার একটা নির্দিষ্ট থাকা উচিত।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি সুনীল গাওস্করের অবসরের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘গাওস্করের তুলনা দিয়ে বলি।উনি আমার খুবই প্রিয় খেলোয়াড়। যখন ওঁর হাতে পাঁচ-ছ’টা সেঞ্চুরি, তখন ব্যাট দোলাতে দোলাতে চলে গেলেন। কাউকে কিছু বলার সুযোগ দিল না। বরং নিজেই পরের খেলোয়াড়কে সুযোগ করে দিয়ে চলে গেলেন। তাঁর থেকেও তো আমাদের কিছু শেখার আছে!’’ নিজেও ঠিক সে ভাবেই অবসর নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এ দিন বরানগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘আপামর জনসাধারণ কিন্তু আর কাউকে নেতাজি বলেননি। ভারতবর্ষে আর কাউকে নেতাজি বলা হয় না। যদিও সে সময় গ্যালাক্সি অব লিডারশিপ ছিল। মানে ভারতমাতার এক সন্তান বলে আমায় দেখ তো অন্যজন বলে আমায় দেখ। কিন্তু নেতাজি বলা হতো শুধু সুভাষচন্দ্র বসুকে। মাথায় এটা রাখতে হবে। আমরা অনেককেই নেতা বলি, নেতা অত সহজে হয়? বলুন পদাধিকারী। বলুন কর্মী। বলুন রাজনৈতিক ব্যক্তি। রাজনীতিক। নেতা এই মুহূর্তে বাংলায় একজন, দুই, তিন, চারজন নন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
কার উদ্দেশে তাঁর এই বক্তব্য তার ব্যাখ্যা খুঁজছে রাজনৈতিক মহল।