অমিত শাহের সফরের পরপরই বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এক টুইটে লিখেছিলেন, ‘বাংলায় জিততে চান? আগে বাংলার মানুষের হৃদয় জিততে শিখুন।’ এই টুইট তিনি কাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন তা খোলসা করে বলা নেই। তবে প্রশ্ন উঠেছিল, তবে কি বিজেপিতে মোহভঙ্গ হল জিতেন্দ্র তিওয়ারির? এই নিয়ে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তিনি জিতেন্দ্রর টুইটকে সমর্থন করছেন। (আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সৌরভ পত্নী ডোনা? জল্পনার মাঝে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ)
এদিন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে জিতেন্দ্র তিওয়ারির টুইট নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘ঠিক কথাই বলেছেন (জিতেন্দ্র তিওয়ারি)। মানুষের প্রাণ নিয়ে টানাটানি, বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য সবই আজ ধ্বংস হতে চলেছে। মানুষ ভয়ের পরিবেশের মধ্যে আছে। কেউ সত্যি কথা বললে বেসুরো হওয়ার কি আছে?’
এদিকে জিতেন্দ্রের ‘অভিমানে’র কারণ, তিনি বিজেপিতে ঠিক ভাবে কাজ করতে পারছেন না। সূত্রের খবর, জিতেন্দ্রর নিজের সংগঠন ভেঙে গিয়েছ। এদিকে যে শুভেন্দুর সঙ্গে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, সেই শুভেন্দু এখন নানাবিধ কাজে ব্যস্ত। অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছেন জিতেন্দ্র। এদিকে জিতেন্দ্রর এককালের প্রতিদ্বন্দ্বী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় দলবদল করে তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছেন। সম্ভবত তিনি মন্ত্রীও হতে চলেছেন। এদিকে বালিগঞ্জের পাশাপাশি আসানসোলে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল। সেই উপনির্বাচনেই জিতেন্দ্রের পুরোনো নির্বাচনী এলাকা পাণ্ডবেশ্বর কেন্দ্রে বিজেপি এবার ৯৮ হাজারেরও বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূলের থেকে। এই পরিস্থিতিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির সেই টুইট ঘিরে অস্বস্তি শুরু হয়। তবে দিলীপ ঘোষ সেই টুইটের মর্ম ঘুরিয়ে বিষয়টিকে হালকা করার চেষ্টা করলেন আজকে।