নতুন বছরের প্রথমদিনও অব্যাহত জাতীয় সড়ক অবরোধ। রবিবার ডানকুনিতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পর আজ সোমবার, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন ট্রাক ও গাড়িচালকরা। এদিন ভোর রাত থেকে অবরোধ শুরু ট্রাক ও গাড়ি চালকরা। কেন্দ্রের নতুন পরিবহণ নীতির বিরুদ্ধে এই আন্দোলন। তাঁদের অভিযোগ, নতুন আইনে বাড়তি জরিমানা চাপানো হচ্ছে চালকদের ঘাড়ে।
এদিন ভোর রাত থেকে শুরু হয় অবরোধ। গাড়ি চালকরা পশ্চিম মেদিনীরপুরের নারায়ণগড় থানার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। চালকদের এই প্রতিবাদ আন্দোলনের ফলে অন্য জেলা থেকে দিঘার দিকে যাওয়া গাড়িগুলি বিপাকে পড়ে। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, এই বাড়তি জরিমানার আইন না তোলা হলে অবরোধ জারি থাকবে। ফলে সাধারণ মানুষের যে দুর্ভোগ যে চলতে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
এর আগে ডানকুনিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন পরিবহণ নীতির বিরুদ্ধে রবিবার বিক্ষোভ শুরু করেন ট্রাকচালকরা। সকালল সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁরা প্রতিবাদ শুরু করেন। বর্ষশেষের দিন থাকায় দুুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে কয়েক হাজার গাড়ি দাড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়েও ব্যর্থ হয়। পুলিশ আধিকারিকরা ট্রাক চালকদের সঙ্গে কথা বলেও কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারেনি। ফলে জাতীয় সড়কে যানজট বাড়তে থাকে।
(পড়ুন। শহরের বুকে বেশ কয়েকটি বাস রুট বন্ধ হতে চলেছে, পুরনো বাতিলে আগমন নতুনের)
পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ করেন ট্রাক চালকরা। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগও ওঠে। অ্যাম্বুল্যান্স এবং আপৎকালীন পরিষেবার সঙ্গে জড়িত যানবাহনে ছাড় দেওয়া হলেও বাকিদের আটকা পড়ে থাকেন দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। অবরোধের জেরে আটকে পড়ে যাত্রীবাহী বাসও। অনেক বাস থেকে হাঁটা শুরু করেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে জাতীয় সড়কেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অবরোধের জেরে তৈরি হয় বিশাল যানজট।