গরুপাচারকাণ্ডে বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারের গ্রেফতারির পরই শুরু হল রাজনৈতিক তরজা। এদিন সতীশ কুমারের গ্রেফতারির পরই একযোগে তৃণমূলের উদ্দেশে আক্রমণ শানায় বিজেপি ও কংগ্রেস। ওদিকে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, গরুপাচারে কোনও ভাবেই যুক্ত নয় তাদের দল বা রাজ্য পুলিশ।
এদিন বিএসএফ আধিকারিক ছাড়াও পুলিশের শীর্ষকর্তা ও শাসকদলের শীর্ষনেতাদের গরুপাচারে কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই অপরাধ চলছিল। বিএসএফ হোক বা পুলিশ, বা রাজনৈতিক নেতা, গরুপাচারের টাকা সবাই পেয়েছে। সিবিআই দেরিতে হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে’।
সায়ন্তনবাবুর দাবি, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এব্যাপারে তদন্ত শুরুর দাবি জানাচ্ছিলাম। গরুপাচারে সিন্ডিকেট চলে। সেখানে টাকার খনি তৈরি হয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষস্তর থেকে শুরু করে বিএসএফ অফিসার ও পুলিশ যুক্ত। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পার্টির পক্ষ থেকে ও স্থানীয় জনগণ তথ্য প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। তাও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছিল না। এতদিনে হতে শুরু করেছে। এর জল বহুদূর যাবে। তৃণমূলের বড় বড় নেতাদের বাড়ি পর্যন্ত সিবিআই পৌঁছবে। এখনো অনেক দেখা বাকি। অপরাধীদের কঠোর ব্যবস্থা আমরা চাই’।
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘গরুপাচারকারী যদি গ্রেফতার করতে হয় পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের অর্ধেক নেতার জেল হয়ে যাবে। আমার জেলায় যত এসপি, ডিএম সবাই গরুপাচারের টাকা খেয়েছে। সঠিক তদন্ত হলে কত যে অ্যারেস্ট হবে গোনা যাবে না’।
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘বিএসএফ গরু পাচার করে একথা আমরা বহুদিন ধরে বলছিলাম। এর সঙ্গে তৃণমূল বা রাজ্য পুলিশের কোনও যোগ নেই। বিএসএফ অমিত শাহের অধীনে। সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। এটা তাদের ব্যাপার। আমরা দোষীদের শাস্তি চাইব।’
প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরার পর মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে বিএসএফ নেতা সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গরুপাচারকাণ্ডে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে দায়িত্বে থাকার সময় তাঁর ছত্রছায়ায় গরুপাচারের সিন্ডিকেট চলত বলে দাবি তদন্তকারীদের।