ছেলে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন রাজ্য–রাজনীতি গুঞ্জন চরমে, তখন বাবা শিশির সোজা ব্যাটে খেলে জানিয়ে দিলেন, ‘আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব। বয়স অনেক হল। অনেক কিছু দেখলাম, শিখলাম। এই বয়সে অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মানসিকতা নেই। শুভেন্দু মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছে। ক্ষোভ, অভিমান আছে। তবে দলেরই কয়েকজন জোর করে ঠেলে বিজেপিতে পাঠিয়ে দিতে চায়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু সম্পর্কে যা বলছেন, তা ঠিক করছেন না।’ এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, শুভেন্দু তৃণমূলেই থাকবে তো? শুভেন্দুর ক্ষোভ–বিক্ষোভ কী?
তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়, শুভেন্দু কি শেষ পর্যন্ত দলে থাকছেন? শিশিরবাবু বলেন, ‘দেখুন কী হয়।’ যদিও শুভেন্দু দলেই থাকবেন, এই ব্যাপারে সাংসদ সৌগত রায় খুবই আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘ওর সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব আমাকে নেত্রী দিয়েছিলেন। আমরা খোলাখুলি আলোচনা করেছিলাম। শুভেন্দু দল ছাড়ার কথা একবারও বলেননি। আমি এখনও বিশ্বাস করি, ও দলেই থাকবে। আলোচনার রাস্তা খোলা। আমায় যদি নেত্রী বলেন, তাহলে আমি আবার কথা বলব।’
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘সৌগত রায় বিজেপিতে যোগ দেবেন।’ সৌগত বলেন, ‘আমি ওদের বিরুদ্ধে বলছি, তাই অমিত মালব্যর নির্দেশে আমায় চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য ছক কষা হচ্ছে। মিডিয়া যতদিন আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করবেন, ততদিন আমি বলে যাব।’
শুক্রবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটের বাড়িতে দলীয় বৈঠকে বলেন, ‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনারা নির্বাচনের কাজ শুরু করে দিন। বিজেপিকে যেভাবেই হোক প্রতিরোধ করতে হবে। বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় যা বলবে, তার পালটা নয়, দলের উন্নয়ন নিয়ে প্রচার করতে হবে। জনসংযোগ বাড়িয়ে তুলুন।’