চওড়া হাসি বাঙালির মুখে। কারণ, সে এসে পড়েছে। আর একেবারে ঠিক সময়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার বিশ্বকর্মা পুজো। তার ঠিক আগের দিন রাতে রান্না পুজো উপলক্ষে বাঙালির বাড়িতেই ইলিশের পদ রাখতেই হয়। অনেক পরিবারে জোড়া ইলিশ রান্নার প্রচলনও রয়েছে। আর এমন সময় বাংলাদেশ রাখল তার প্রতিশ্রুতি। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে ও পার বাংলা থেকে এ পারে এল ১২ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ। জানা গিয়েছে, আরও ১৪৩৮ মেট্রিক টন বাংলাদেশি ইলিশ ধাপে ধাপে ঢুকবে পশ্চিমবঙ্গের বাজারে। বোঝাই যাচ্ছে, এবার পেটপুজোয় পাতে পদ্মার ইলিশ পড়লে জমে উঠবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো।
এর আগের বছর ঠিক পুজোর আগেই ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠায় বাংলাদেশ। এবার তার পরিমাণ ১৪৫০ মেট্রিক টন। ব্যবসায়ীদের লাগাতার আবেদনের ভিত্তিতে ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। লকডাউনের জেরে নদীপথ পরিষ্কার থাকায় এবং বেশ ভাল পরিমাণ বৃষ্টিপাত দেখে পশ্চিমবঙ্গে এবার বেশ ভাল পরিমাণ নধর ইলিশ ধরা পড়বে বলে অনুমান করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সে গুড়ে বালি। সেরকম ইলিশ এবার ওঠেইনি নদী থেকে। বাজারেও যা পাওয়া যাচ্ছে তার অনেক দাম। কিন্তু এবার পদ্মার ইলিশে পাত পড়বে শুনে চাহিদা মিটবে অনেকেরই।
জানা গিয়েছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় বাংলাদেশে এবার প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা কোনও নদীই নিরাশ করেনি। বাংলাদেশের বাজারে এবার ইলিশের দামও খুব কম। ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিকোচ্ছে। এর কম ওজনের ইলিশের দাম ৬০০ টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। জানা গিয়েছে, আরও ভাল দাম পাওয়ার আশায় রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ইলিশ রপ্তানি করতে অনুমতি পয়েছে বাংলাদেশের ৯ রপ্তানিকারক।