আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের দিন ঘোষণা হতেই ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার দিনেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিল। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের সালার। সেখানে ব্লক অফিসে সর্বদলীয় শান্তি বৈঠক ছিল অভিযোগ সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই সালার বাস স্ট্যান্ডের কাছে যুব তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ভরতপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের আনুগামীদের উপর হামলা করে বিধায়ক হুমায়ূন কবীরের অনুগামীরা। লাঠি , বাঁশ প্রভৃতি দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, দুপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। আহত এক তৃণমূল কর্মী জানান, শান্তি বৈঠক করে ফেরার পথে বিধায়কের অনুগামীরা পিছন থেকে বাইকে করে তাদের উপর হামলা চালায়। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মাথা ফেটে যায়। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পরেই তৃণমূলের ছদ্মবেশে বিরোধী দলের দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। তৃণমূলের নাম খারাপ করার জন্য এরকম করা হয়েছে। তিনি এবিষয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বিধায়ক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা মোটেই কাম্য নয়।তৃণমূল কর্মীরা যুবকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তবে তৃণমূলের সমস্ত সংগঠনের নেতা কর্মীরা একত্রিত হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করবে।’
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে হুমায়ূন কবীরের সঙ্গে ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। একাধিক সভায় ব্লক সভাপতিকে হুমকি দিয়েছিলেন হুমায়ূন কবীর। তারই মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নের প্রথম দিনেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সালার। ঘটনায় গুরুতর আহত ১২জন সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনার জেরে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup