বাড়ির দোলনাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল দুই মেয়ের। মর্মান্তিক এই ঘটনার পিছনে খোদ তাঁদের বাবাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, ঘটনাটি আচমকা ঘটেনি। আসলে পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে তাঁদেরকে। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় খালেরপুর এলাকার বাসিন্দা নাজিবুল নায়েকের দুই মেয়ে সুমি খাতুন (৮) ও রুমি খাতুন (৬)। কিছুদিন আগে তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করে চলে গিয়েছে। দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন নাজিবুল। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির দোলনায় খেলা করছিল নাজিবুলের দুই মেয়ে। আচমকাই তাঁদের মুখ দিয়ে গ্যাজা বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল এবং কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাড়ির সামনে থাকা দোকান থেকে বিদ্যুতের তার ছিড়ে সেখান থেকেই মৃত্যু হয়েছে সুমি ও রুমির। তবে আচমকা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার তত্ব মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, দুই মেয়েকে আসলে খুন করা হয়েছে। আর এই খুনের পিছনে রয়েছে তাদের বাবা নাজিবুল। মেয়ে দুটির অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর নাজিবুলের বাড়িতে হামলা চালান স্থানীয়রাই। ইতিমধ্যে পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ মেয়ে দুটির অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে কিনা, পুলিশ তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি মেয়ে দুটি যদি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও থাকে, তাহলে তারা কীভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।