কটোয়া মহকুমার চার সতীপীঠ জুড়ে সার্কিট ট্যুরিজমের উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। এই চার সতীপীঠ ঘুরিয়ে দেখাতে বিশেষ প্যাকেজেরও ব্যবস্থা করছে পর্যটন দফতর। এই প্রকল্প চালু হলে এলাকার অর্থনৈতিক মানচিত্রে পরিবর্তন আসবে মনে করছে জেলাপ্রশাসন।
সতীর একান্নটি পীঠের মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমায় মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম থানা এলাকায় চারটি সতীপীঠ রয়েছে। এই সতীপীঠগুলি বিভিন্ন সময় পর্যটকরা আসেন। এবার একসঙ্গে এই সতীপঠীগুলি ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করছে জেলাপ্রশাসন। পর্যটন দফতরের সহযোগিতায় খুব শীঘ্রই এই প্রকল্প চালু হবে।
মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে যোগাদ্যা মন্দির রয়েছে। কথিত আছে সতীর ডানপায়ের বুড়ো আঙুল পড়েছিল ক্ষীরোদা গ্রামে। সেখানে তৈরি হয় যৌগাদ্যা মন্দির।
এছাড়া মঙ্গলকোটে অজয় নদীর পাশে কোগ্রামে দেবীর বাঁ হাতের কনুই পড়েছিল। এখানে দেবী মঙ্গলচণ্ডীর পুজো হয়। এছাড়া কেতুগ্রামে রয়েছে দুটি সতীপীঠ বাহুলক্ষ্মী ও অট্টহাস্য। এই চার সতীপীঠকে এক সঙ্গে জুড়বে জেলাপ্রশাসন।
(পড়তে পারেন। ২০ কোটি দিয়ে সাজানো হচ্ছে নলবনকে, আসছে ওয়াচ টাওয়ার সহ একাধিক চমক)
(পড়তে পারেন। অ্যাপ বাইক নিয়ন্ত্রণ করতে নয়া নির্দেশিকা জারি করবে পরিবহণ দফতর)
পূর্ব বর্ধমান জেলা পর্যটন আধিকারিক জানিয়েছেন, কাটোয়া রেল স্টেশন থেকে পর্যটকদের রিসিভ করে তাদের গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হবে। সকালের জলখাবার, দুপুরের খাওয়া, চা-বিস্কুট স্ন্যাকসের ব্যবস্থা থাকবে পর্যটকদের জন্য। গ্রুপ ট্যুর করে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে ফলে, নিজেদের মধ্যে আলাপচারীতার সুযোগও থাকছে। তাই যাঁরা একসঙ্গে চার সতীপীঠ দেখতে চান তাঁরা ট্যুর বুকিং করলেই মিলবে এই সুযোগ।তাছাড়া সরকারি উদ্যোগে এই ট্যুর তৈরি হওয়ায় পর্যটকরা নির্ভাবনায় ঘুরতে পারবেন।
রাজ্য পর্যটন দফতরে এই প্যাকেজ ট্যুরের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন এলেই বুকিং-এর জন্য নির্দিষ্ট পোর্টাল চালু হবে। জেলা প্রশাসন মনে করছে সুসংগঠিত ভাবে এই পর্যটন সার্কিট তৈরি হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।