রাজ্যে বাড়ছে অ্যাপ নির্ভর বাইকের সংখ্যা। অনেক বেকার যুবক আয়ের আশায় এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় অ্যাপ নির্ভর বাইকগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। এই ধরনের বাণিজ্যিক বাইকের হলুদ নম্বর প্লেট এবং বাণিজ্যিক লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে আগেই উদ্যোগী হয়েছিল পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি সেই কাজে প্রতি বেড়েছে। এরপরের ধাপে অ্যাপ নির্ভর বাইকের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করতে চাইছে প্রশাসন। তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পরিবহণ দফতর।
আরও পড়ুন: অ্যাপ বাইক নিয়ন্ত্রণে ৪ সদস্যের কমিটি, ভাড়া ও অন্যান্য বিষয়ে বিধি আনছে রাজ্য
জানা গিয়েছে, নতুন নির্দেশিকায় যেমন পরিবহণ দফতরের সুবিধা হবে, তেমনি অ্যাপ বাইক চালকদেরও সুবিধা হবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র কলকাতাতেই ১৫ হাজার অ্যাপ নির্ভর বাইক চলে। তাছাড়াও বিভিন্ন ই কমার্স সংস্থা এবং খাবারের ডেলিভারির সঙ্গে এরকম প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার বাইক যুক্ত রয়েছে। এতদিন তবে বাণিজ্যিক লাইসেন্স না থাকায় সে গাড়িগুলিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে ওই বাইকগুলির বাণিজ্যিক লাইসেন্স থাকলে সেক্ষেত্রে যেমন পরিবহণ দফতরের রাজস্ব বাড়বে তেমনি বাইকগুলিকেও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। তাছাড়া বাইক চালকরা বীমার সুবিধা পাবেন বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক বীমা সংস্থার সঙ্গে পরিবহণ দফতরের আলোচনা হয়েছে।
এর পাশাপাশি আরও যে সমস্ত সুবিধা থাকছে সেগুলি হল–আগে জানা সম্ভব হতো না যে কে অ্যাপ বাইক চালাচ্ছে। অনেক সময় অপ্রাপ্তবয়স্কদের অ্যাপ বাইক চালাতে দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে পথ নিরাপত্তার বিষয়টি লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার পুলিশি হয়রানির বিষয়টিও কমবে বলে মনে করছে পরিবহণ দফতর। এই সমস্ত কারণে নির্দেশিকা জারি করতে চাইছে পরিবহণ দফতর।
সম্প্রতি পরিবহণ দফতরের সঙ্গে অ্যাপ বাইক ইউনিয়নের প্রতিনিধি এবং অ্যাপ বাইক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাতে অ্যাপ বাইক সংস্থাগুলিকে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অ্যাপ বাইক ইউনিয়নকেও তাদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। সমস্ত দিক পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।