বীরভূমের খয়রাশোলে তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার হল দলেরই ৪ কর্মী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই খুন। খয়রাশোলে রাজনৈতিক খুন বিরল ঘটনা না হলেও অনেকদিন পর রক্তারক্তিতে ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শনিবার খয়রাশোলের আমজোলা গ্রামে তৃণমূল কর্মী শিশির বাউড়ি খুনে সঞ্জয় বাউড়ি, গণেশ বাউড়ি, দীনু দাস ও অজয় দাস নামে দলেরই চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর খয়রাশোল থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা কিশোর মণ্ডলের অনুগামী। যার সঙ্গে বিবাদ ছিল শিশিরের।
শুক্রবার রাতে স্থানীয় ক্লাবে পিকনিক করছিলেন শিশির বাউড়ি-সহ আরও কয়েকজন তৃণমূলকর্মী। তখন শিশিরবাবুকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। সকালে পুকুরপাড়ে তাঁর লাশ মেলে।
বেআইনি কয়লাখাদানের দখলদারি ও বখরা নিয়ে খয়রাশোলে রাজনৈতিক খুনোখুনি লেগেই থাকে। ২০১১ সাল থেকে সেখানে তৃণমূলের ৩ জন ব্লক সভাপতি খুন হয়েছেন। পরিস্থিতি এমনই যে খয়রাশোলে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হতে চান না কেউ। তাই দল পরিচালনার জন্য সেখানে কমিটি বানিয়েছেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
রবিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করলে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।