একবছর আগে মায়ের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। আর একবছর পর মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুরে কলেজ পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে এবার অভিযোগের তির ছাত্রীর বাবার দিকে। নিজের অবৈধ সম্পর্কের জেরেই স্ত্রী–মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নরেন্দ্রপুরে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে যুবতীর দেহ। মৃত কলেজ ছাত্রী যুবতীর নাম সুদেষ্ণা নস্কর (১৮)। সুদেষ্ণার মামাবাড়ির সদস্যরা সুদেষ্ণার বাবা অবিনাশ নস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷
ঠিক কী ঘটেছে নরেন্দ্রপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রীর দেহ বুধবার বিকেলে ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়। সুদেষ্ণার বন্ধুরা বুধবার বিকেলে তাঁকে ডাকতে যায়। প্রথমে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখে। তখন তাঁদের চোখে পড়ে সুদেষ্ণার ঝুলন্ত দেহ। তাঁরাই বিষয়টি অন্যান্যদের জানান এবং নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দেন। অভিযোগ, মৃতার বাবা অবিনাশ নস্করের সঙ্গে অন্য মহিলার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। মা–মেয়ের নামে ব্যাঙ্কে কিছু টাকা ছিল৷ সেই টাকা হাতাতেই প্রথমে মা এবং পরে মেয়েকে খুন করা হয়। মৃত সুদেষ্ণার মামাবাড়ির সদস্যরা এই অভিযোগ তুলেছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুদেষ্ণাকে খুন করা হয়েছে নাকি সত্যিই আত্মঘাতী হয়েছেন তা ময়নাতদন্তেই স্পষ্ট হবে। সুদেষ্ণার বাবা অবিনাশ নস্করকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি বাড়ির মালিক এবং অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সুদেষ্ণার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, মায়ের যে অর্থ ছিল তা বেশ কিছুটা মেয়ে সুদেষ্ণাকে দেওয়া হয়েছিল। এই সম্পত্তি সুদেষ্ণার মায়ের বাপেরবাড়ির। এটাই হাতাতে চেয়েছিল অবিনাশ। সেই সূত্রেই এই পরিকল্পিত খুন বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত সুদেষ্ণার মামাবাড়ির সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।