শীত পড়েছে। ডুয়ার্সে ভোরবেলা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। এই সময়টাতেই একটু দূরের জিনিসকেও ভালো করে দেখা যায় না। আর সেই সময় বড় বিপদ বানারহাটের ডায়না চা বাগান এলাকায়। চা বাগানের শ্রমিক লাইনে চিতাবাঘের আতঙ্ক। শনিবার এক চা শ্রমিকের বাড়ির রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে আস্ত একটি চিতাবাঘ। ভয়ে আঁতকে ওঠেন বাড়ির লোকজন। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা?
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার তখন রাত ৯টা। শীতের রাত। এমনিতেই চারদিক নিঝুম হয়ে আছে। অনেকেই ঘুমানোর তোড়জোড় করছেন। পরের দিন আবার ভোর ভোর উঠতে হবে। ডায়না চা বাগানের আপার লাইনের বাসিন্দা নবীন মির্ধা আচমকাই কেমন যেন কান্নার মতো আওয়াজ শুনতে পান। আরও ভালো করে শোনার চেষ্টা করেন তিনি। রান্নাঘরের দিক থেকেই আওয়াজটা ভেসে আসছিল। কেমন যেন সন্দেহ হয় তাঁর। এরপর তিনি রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে যান। একটা অন্যরকম শব্দ ভেসে আসছিল।এরপর রান্নাঘরে উঁকি দিতেই একটা ঠান্ডা শ্রোত তাঁর শিরদাঁড়া বেয়ে বইতে শুরু করে। রান্নাঘরের মধ্য়ে ঢুকে পড়েছে আস্ত একটি চিতাবাঘ। আতঙ্কে তখন তাঁর হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। তিনি একে একে পরিবারের অন্য়ান্যদের ডেকে আনেন। তাঁরাও ওই জন্তুর উপস্থিতি টের পান। এরপরই প্রতিবেশীরাও একে একে জড়ো হয়ে যান এলাকায়।
কিন্তু চিতাবাঘ উদ্ধার করা কি সাধারণ মানুষের সাধ্য! এরপর বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ শাখায়, বানারহাট থানায় খবর দেওয়া হয়। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তাঁরাই এরপর চিতাবাঘটি উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। এরপর কার্যত হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন স্থানীয়রা।
সম্ভবত খাবারের লোভে চিতাবাঘটি রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছিল। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বার বার চিতাবাঘ লোকালয়ে চলে এসেছে। এমনকী শীতের রাতে একেবারে শিলিগুড়ি শহরেও চিতাবাঘ আসার নজির রয়েছে।