কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট। প্রত্যেকটি জায়গা থেকেই বলা হয়েছিল নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো যাবে না। পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। কিন্তু সেখানে এই শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদে এক বৃদ্ধের উপর আক্রমণ নেমে আসে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাদল বিশ্বাস ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। এমনকী এই আক্রমণের জেরে বৃদ্ধ সুভাষ বিশ্বাস (৭৮) মারা যান। খুনের অভিযোগ উঠেছে ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও দলবলের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাজি ফাটানো নিয়ে একটা বচসার অভিযোগ এসেছে। সেখানে ঠিক কী হয়েছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি। ঘটনাটি নদিয়ার হাঁসখালির অন্তর্গত ছোট চুপড়ি গ্রামে ঘটেছে। কালীপুজোর রাতে আক্রান্ত সুভাষ বিশ্বাস (৭৮) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা বাদল বিশ্বাস–সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? সুভাষ বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে ছেলে উজ্জ্বল বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘কালীপুজোর রাতে আমাদের বাড়ির সামনে দেদার শব্দবাজি ফাটানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়। বচসার সময় আমার মাথা লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আমার বাবা সুভাষ বিশ্বাস। তিনি প্রতিবাদ করেন। তখন তাঁকে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় এলাকার একটি মন্দিরের সামনে। সেখানেই মারধর করা হয়। হাঁসুয়া, টাঙি দিয়ে কোপান হয়। বাবার মাথা দু’ফাঁক হয়ে যায়। আমরা কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু বাবা সেখানে মারা যান। অপরাধীদের ফাঁসি চাই।’
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাদল বিশ্বাস এলাকায় ত্রাস। তাঁকে সবাই ভয় পেয়ে চলে। একাধিক অভিযোগ থাকলেও কোনও কেউ মুখ খুলতে পারে না। পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নিতে ভয় পায়। নানা অসামাজিক কাজে জড়িয়ে এই বাদল এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শিশির বিশ্বাস বলেন, ‘অপরাধ করে থাকলে শাস্তি হবে। বাদলকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।’