স্কুলে আসতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাজিরা খাতায় সই করতে দেননি প্রধান শিক্ষক। সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু। রাগের বশে প্রধান শিক্ষকের দিকে তেড়ে যান শিক্ষক। জামার কলার চেপে ধরেন। সেই সময় এক শিক্ষাকর্মী বাধা দিতে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ির অজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম দেবাশিস খাগ। স্কুলে আসতে দেরি করায় হাজিরা খাতায় তাঁকে সই করতে বাধা দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক আশিস গড়াই। তখনই দুজনের মধ্যে তুমুল বচসা বেধে যায়। প্রধান শিক্ষককে মারতে তেড়ে যান দেবাশিস। সেই স্কুলের এক শিক্ষাকর্মী অভিজিৎ ভাণ্ডারি তাঁকে বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অভিজিৎবাবুকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আশিস গড়াই জানান, ‘আমাকে জামার কলার ধরে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। আমার এক সহকর্মীকে মারধর করা হয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’ আহত শিক্ষাকর্মী জানান, ‘আমাকে মাটিতে ফেলে লাথি মারা হয়েছে। নাকে ঘুসি মারা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি এই ধরনের আচরণ করছেন।’ যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।