কয়েকদিন ধরেই পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর থানা এলাকায় রূপনারায়ণপুরে লুঠপাটের ঘটনা ঘটছে। বেশ কয়েকজন মানুষ ইতিমধ্যেই থানায় এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, রাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বন্দুক দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুঠ করা হয়েছে। সে সমস্ত অভিযোগ পাওয়ার পরেই এলাকায় টহলদারি শুরু করে পুলিশ। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুষ্কৃতী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আহ্লাদী গ্রামের প্রমিলা নার্সারির কাছে যুবককে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় তাকে উঁকি মারতে দেখা যায়। যুবকের এরকম সন্দেহজনক আচরণ দেখে এক ব্যক্তি পুলিশে খবর দেয়। খবর পাওয়ার পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে গাড়ি থামিয়ে পায়ে হেঁটে যুবকের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশকে দেখে ওই যুবক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। সেই সময় পুলিশও তার পিছু করে। অবশেষে তাকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম অমরজিৎ মণ্ডল। সে পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরেই প্রথমে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিল ওই যুবক। কিন্তু, তার শরীর তল্লাশি করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়াও ব্যারেল হাতুড়ি ট্রিগার ফায়ারিং পিন তার কাছ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র থাকার কোনও বৈধ লাইসেন্স তার কাছে ছিল না। এরপরে তাকে জেরা করতে আসল তথ্য জানতে পারে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই যুবক রাস্তার মোড়ে, গলিতে ওত পেতে বসে থাকত। কোনও মানুষ বা মহিলা একা রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলেই তাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাত যুবক। আর তারপরেই সর্বস্ব লুট করে চম্পট দিত। গ্রেফতারের পর ধৃত যুবককে আদালতে তোলা হয়। তার সঙ্গে আরও কোনও দুষ্কৃতী জড়িত আছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।