গতকাল বিকেলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তুমুল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। আর সেই ঝড়বৃষ্টির জেরেই বাঁকুড়া বাতিল করতে হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। এর আগে ভাতারেও ঝড়বৃষ্টির জেরে বাতিল হয়েছিল অভিষেকের রোড শো। পরে দুর্গাপুরেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বৈঠক বাতিল করতে হয়েছিল অভিষেককে। আর এবার বাঁকুড়ায় একই পরিস্থিতি তৈরি হয় গতকাল। জানা গিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ সিমলাপালের নদীঘাটে জনসভা হওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। তবে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের সভা শুরুর আগেই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। মাথা বাঁচাতে ছুটতে থাকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পরে সভা বাতিলের ঘোষণা করা হয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তুমুল বেগে ঝড় শুরু হলে একজায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা দায় হয়ে পড়ে কর্মীদের। এদিকে বৃষ্টির সঙ্গে বাজ পড়তে থাকে। এই আবহে জনসভায় যোগ দিতে আসা তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়ে মাথা বাঁচান। এদিকে ঝড় শুরু হওয়ার আগে সভাস্থলে এসে পৌঁছতে পারেননি অভিষেক নিজেও। পরে দুর্যোগের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মঞ্চ থেকে জেলা নেতৃত্ব সভা বাতিলের ঘোষণা করেন মাইকে। তবে ঝড় চলাকালীন কাউকে বাড়ি ফিরতে বারণ করা হয়। বলা হয়, য়ে যেখানে আশ্রয় নিয়ে আছেন, সেখানেই থাকুন। ঝড়বৃষ্টি থামলে বাড়ির দিকে পাশের রাস্তায় যান। এখানের বদলে অভিষেক সেখানে সভা করবেন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বাঁকুড়ায় বজ্রাঘাতে প্রাণ হারিয়েছিবলেন এক তৃণমূল কর্মী। গত সোমবার সেই মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবার এবং বজ্রাঘাতে আহত অন্যান্য তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন অভিষের। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে সিবিআইয়ের তলব পাওয়ার আগে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে অভিষেকের সভাস্থলে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। পরে সিবিআই তলবে কর্মসূচি কাটছাঁট করে কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। জানিয়ে যান এই সপ্তাহে ফের শুরু হবে কর্মসূচি। এদিকে অভিষেকের বদলে পাত্রসায়রের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে আজও রাজ্য জুড়ে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই আবহে আজও অভিষেকের কর্মসূচি বিঘ্নিত হয় কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় তৃণমূল নেতৃত্ব।