বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Police transfer rules: করোনায় পড়েছিল ছেদ, ফের SI, ASI, কনস্টেবলদের নিয়মিত বদলির নির্দেশ

Police transfer rules: করোনায় পড়েছিল ছেদ, ফের SI, ASI, কনস্টেবলদের নিয়মিত বদলির নির্দেশ

পুলিশের বদলির নির্দেশ। প্রতীকী ছবি

পুলিশ কর্মীদের বদলি নতুন কিছু নয়। আগে থেকেই এই বদলির ব্যবস্থা ছিল। তবে করোনা পরিস্থিতির পর সেই বদলির নিয়মে ছেদ পরে। তারপর দেখা যায় অনেকেই বহু বছর ধরে একই জায়গায় রয়ে গিয়েছেন। এদিকে, একই জায়গা দীর্ঘদিন থাকার ফলে পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ উঠে আসছে।

সম্প্রতি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর (এসআই), অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর (এএসআই) এবং কনস্টেবলদের বদলির নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। সাব ইন্সপেক্টরদের ক্ষেত্রে থানা ও ফাঁড়িতে টানা তিন বছর এবং এএসআই ও কনস্টেবলের ক্ষেত্রে দু'বছর এক জায়গায় থাকলে সেক্ষেত্রে তাঁদের বদলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামনেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এভাবে পুলিশের বদলির নির্দেশকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের অনেকেরই বক্তব্য, ভোটের আগে থানায় নিজেদের লোক রাখার জন্য প্রভাবশালীদের নির্দেশেই সুবিধার জন্যই ওই বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ট্রাফিক জরিমানার টাকা তছরুপের অভিযোগ, চাকরি গেল কলকাতা পুলিশের দুই কনস্টেবলের

প্রসঙ্গত, পুলিশ কর্মীদের বদলি নতুন কিছু নয়। আগে থেকেই এই বদলির ব্যবস্থা ছিল। তবে করোনা পরিস্থিতির পর সেই বদলির নিয়মে ছেদ পরে। তারপর দেখা যায় অনেকেই বহু বছর ধরে একই জায়গায় রয়ে গিয়েছেন। এদিকে, একই জায়গা দীর্ঘদিন থাকার ফলে পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ উঠে আসছে। মূলত সেই কারণেই এভাবে বদলির নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ কর্মীদের বদলি সংক্রান্ত ওই নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (প্রশাসন)। পুলিশ কর্মীদের বদলি করার পর নির্দেশ কার্যকর করা সক্রান্ত রিপোর্ট সমস্ত জেলার এসপি এবং ইউনিট প্রধানদের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশ কর্মীদের দীর্ঘদিন ধরে একই থানা বা ইউনিটে থাকা বিষয়টি নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় থাকার ফলে পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে। সাধারণত কোনও এসআই বা তাঁর অধনস্থ কর্মীরা কোনও থানা বা ইউনিটে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন বছরে বেশি থাকতে পারতেন না। জেলার এসপি এবং ইউনিট প্রধানরাই তাদের নির্দিষ্ট সময়ে বদলি করে দিতেন। তবে করোনা আসার পর থেকে সেই নিয়ম ব্যাহত হয়। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় থেকে গিয়েছেন। সেই কারণে এই বদলির নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

যদিও এই বুদ্ধির পিছনে অন্য কারণ দেখছে বিরোধীরা। তাদের অনেকের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সুবিধার জন্য এই বদলির নির্দেশ। যদিও এমনিতেই লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে পুলিশ কর্মীদের বদলি করতে হয়। তবে রাজ্য পুলিশের দাবি অনুযায়ী এটি রুটিন বদলি।

 

বন্ধ করুন