পরিবারের কর্তার মৃত্যুর পর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না স্ত্রী, পুত্র ও কন্যার। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফোন করেন এক আত্মীয়। তাঁকে পরিবারের একজন জানান, ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন’ তাঁরা। এই খবর জানাজানি হতে শোরগোল পড়ল উত্তরপাড়ায়। তড়িঘড়ি কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে উদ্ধার করলেন ৩ জনকে।
উত্তরপাড়া - কোতরং পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, ‘পরিবারের কর্তা গগণবরণ মুখোপাধ্যায় সরকারি চাকুরে ছিলেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। তার কয়েকদিন পর থেকে গগনবাবুর বৃদ্ধা স্ত্রী শ্যামলী মুখোপাধ্যায়, পুত্র সৌরভ ও মেয়ে চুমকি নিজেদের গৃহবন্দি করে ফেলেন। প্রতিবেশীরা অনেক যোগাযোগ করেও তাঁদের সাড়া পাননি। বিষয়টি তাঁদের এক আত্মীয়কে জানান প্রতিবেশীরা। আত্মীয় শ্যামলীদেবীকে ফোন করলে তিনি জানান, তাঁরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। বিষয়টি আমাকে জানান প্রতিবেশীরা। আমি পুলিশকে জানাই। সোমবার সকালে পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে নিয়ে আমি বাড়িতে আসি। কিন্তু অনেক ডাকাডাকির পরেও বাসিন্দারা দরজা না খোলায় পুলিশ দরজা ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করেছে। তিন জনই অনাহারে মৃতপ্রায়। তাঁদের দ্রুত উত্তরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
পরিবারের এক আত্মীয় বৈষ্ণবদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গগণবরণবাবুর মৃত্যুর তাঁর পেনশনের ব্যাপার নিয়ে কয়েকদিন ওর অফিসে ছোটাছুটি করেছিলাম। তার পর আর ওদের সঙ্গে কথা হয়নি। ওরাও যোগাযোগ করেনি। তাই কী হয়েছে জানি না।’
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পরিবারটি এলাকায় তেমন কারও সঙ্গে মিশত না। ছেলে সৌরভ ও মেয়ে চুমকির বয়স ৫০ এর ওপরে। দুজনেই অবিবাহিত।