একদা 'দাদার অনুগামী' অধুনা 'দিদির ভাই'-য়ে পরিণত হলেন। আর এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ দিদির বৈঠকে ডাক পেলেন তিনি। দু’দিন আগেও 'দাদার অনুগামী' হিসেবে যে নাম তিনি অহরহ উচ্চারণ করতেন, তা ভুলে গিয়ে শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সেরে মুর্শিদাবাদের জেলা সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, ‘দিদি যা নির্দেশ দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে আমি পালন করব।’
এখন প্রশ্ন, তাহলে তিনি আর 'দাদার অনুগামী' নন? তৃণমূলেই থাকছেন তো? 'দাদা'-র ডাকে সাড়া দেবেন না তো? জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠতম অনুগামী হিসেবে পরিচিত মোশারফ ওরফে মধু সাম্প্রতিক অতীতেও তাঁর বার্তা ছিল ‘দাদা যা বলবেন তাই করব।’ এখন বলছেন, দিদির নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। আসলে তিনি ঠিক কী করবেন, তা নিয়ে সন্দিহান এলাকার মানুষজন।
জেলা নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনিও ডাক পাওয়ার পরে দিদির নির্দেশই শিরোধার্য বলেছেন মধু। যদিও মধুর 'বাণী' অনেকেই বিশ্বাস করতে রাজি নন। বিশেষ করে নীচুতলার কর্মীরা। তবে তৃণমূলের অন্দরের খবর শুধু মোশারফ নয়, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বহু অনুগামীদেরও ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়ে তাঁদের দলত্যাগে পাঁচিল তুলতে চাইছে দল। প্রথমে মধু কিংবা শুভেন্দু অনুগামীদের জায়গা হয়নি। পরে অবশ্য তাদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার লিঙ্ক পাঠানো হয় বলে খবর।
তৃণমূলের এক জেলার নেতা বলেন, ‘মধু এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের দলত্যাগ সামাল দিতেই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল।’ বৈঠক শেষে মধু বলেন, ‘আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাই পালন করব।’ তবে এদিনের বৈঠকে লিঙ্ক পাঠানো হয়নি বিজেপি ফেরত দলের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ূন কবীরকে। হুমায়ুন নিজেও বলেন, 'আমি কোন লিঙ্ক পাইনি।' বেলডাঙার বিধায়ক রবিউল আলম হুমায়ূনের ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত। তিনি অবশ্য বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন।