স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের মারধর কাণ্ডে নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রায় ১২ দিন হয়ে গেল সেই নির্দেশ। কিন্তু, এতদিন হওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ। এরই মধ্যে অজ্ঞাত জায়গা থেকে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। তবে সেই আবেদন করে দিল আদালত।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ, স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করল পর্ষদ
মঙ্গলবার আলিপুর জেলা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন নরেন্দ্রপুরের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তার হয়ে আলিপুর জেলা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তার ছোট ভাই তথা আইনজীবী সৈয়দ আরিফ আহমেদ। পালটা স্কুলের একদল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন প্রধান শিক্ষকের আইনজীবী। তার বক্তব্য, তিনি স্কুলের একদল শিক্ষকের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাছাড়া স্কুলে অডিট আটকানোর জন্য যে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তাও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষকের আইনজীবী।
তার বক্তব্য, এক শিক্ষক স্কুলের এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত রয়েছে। তা নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের অনেকদিন ধরেই শিক্ষকদের উপরে ক্ষোভ ছিল। সেই কারণেই তারা ওইদিন হামলা চালিয়েছিল। এই হামলার সঙ্গে কোনওভাবেই প্রধান শিক্ষক জড়িত ছিলেন না। যদিও স্কুলের আক্রান্ত শিক্ষকদের প্রথম থেকে অভিযোগ ছিল, প্রধান শিক্ষক দুর্নীতিতে জড়িত। তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে আদালতে। প্রতিবাদ জানানোর কারণে তারা হামলার শিকার হয়েছেন। প্রধান শিক্ষক তাদেরকে হুমকি দিয়েছিলেন বলেও তারা অভিযোগ তুলেছিলেন। এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ছাড়াও পঞ্চায়েত সদস্য এবং সমিতির এক সদস্যের নামে অভিযোগ করা হয়।
প্রধান শিক্ষকের আগাম জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী জানান, স্কুলের ভিতরে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মারধরের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা ছিল। এই পরিকল্পনা তারই ছিল। কলকাতা হাইকোর্ট প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে। স্কুলের আক্রান্ত শিক্ষকরা মামলায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ তোলেন। এমনকী তার বিরুদ্ধে মুখ খুললে বদলির ব্যবস্থা করতেন বলেও অভিযোগ করা হয়। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আগাম জামিন খারিজ করেন বিচারক।