বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল অন্তঃসত্ত্বা হাতি, মালগাড়ির ধাক্কায় মর্মান্তিক পরিণতি

ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল অন্তঃসত্ত্বা হাতি, মালগাড়ির ধাক্কায় মর্মান্তিক পরিণতি

গর্ভবতী হাতির মৃত্যু।

বারবার রেল লাইনে হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটার পর হাতি মৃত্যু রুখতে থার্মাল ডিভাইস আইডিএস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় রেল। সুতরাং রেল লাইনে হাতি উঠলেই অ্যালার্ম বাজার কথা। সেখানে কেন অ্যালার্ম বাজল না?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর অ্যালার্ম না বাজায় সেটা রেলের ব্যর্থতা বলে মনে করা হচ্ছে। 

এবার আবার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল আলিপুরদুয়ারে। মাঝরাতে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা এক হাতির। এই ঘটনায় আজ, বৃহস্পতিবার আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ আজ সকালে আলিপুরদুয়ারের চাপরামারি জঙ্গলের কাছ থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে হাতিটিকে। আবার প্রশ্নের মুখে পড়ল রেলের ভূমিকা। গর্ভে সন্তান থাকায় আসতে যাচ্ছিল হাতিটি। আর তাই দ্রুতগতিতে থাকা মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল ওই অন্তঃসত্ত্বা হাতির। রেল দুর্ঘটনার জেরে গর্ভস্থ সন্তানও বেরিয়ে আসে পেট থেকে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

এদিকে চাপরামারি জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে চালসা–নাগরাকাটাগামী রেললাইন। আর সেখান দিয়েই পার হচ্ছিল অন্তঃসত্ত্বা হাতিটি। তখন সেখান দিয়ে তীব্র গতিতে যাচ্ছিল মালগাড়ি বলে খবর। হাতিকে দেখেও গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় এই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে। রাত ২টো ৩০ মিনিট নাগাদ ওই অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে সজোরে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। আর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অন্তঃসত্ত্বা হাতির। এমনকী হাতির শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। রেল লাইন থেকে উদ্ধার করা হয় মৃত হাতিকে। আর খবর দেওয়া হয় বন দফতরে।

অন্যদিকে বনদফতর সূত্রে খবর, মা হাতি ও নবজাত শাবকের দেহের ময়নাতদন্তের পর দাহ কাজ করা হবে। বনদফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এবং পশু চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এই দুর্ঘটনা নিয়ে এখন বনদফতর এবং রেলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। আগেও এই রেলপথে পর পর হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাই এসব নিয়ে রেলকে সতর্ক করা হয়েছিল। এমনকী এমন দুর্ঘটনা এড়াতে রেল ও বনদফতরের মধ্যে একাধিক বৈঠকও হয়েছিল। কিন্তু তারপরও মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। যার জন্য রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আমি খুব চাপে আছি’‌, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার শেষ ফোনে শুনেছিল বাবা

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ বারবার রেল লাইনে হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটার পর হাতি মৃত্যু রুখতে থার্মাল ডিভাইস আইডিএস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় রেল। সুতরাং রেল লাইনে হাতি উঠলেই অ্যালার্ম বাজার কথা। সেখানে কেন অ্যালার্ম বাজল না?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর অ্যালার্ম না বাজায় সেটা রেলের ব্যর্থতা বলে মনে করা হচ্ছে। হাতির মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বনদফতর। বন দফতরের অফিসারদের অভিযোগ, ট্রেনের গতিবেগ স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল বলেই এভাবে হাতির দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।

বন্ধ করুন