বাড়ি তৈরির জন্য পুরসভার কাছে প্ল্যান পাস করাতে গেলে দিতে হচ্ছে মোটা টাকার ঘুষ! এবার এমনই অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি পুরসভার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে পুরসভার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার-সহ আরও ২ জন কর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার।
পুলিশ সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির কদমতলা এলাকার বাসিন্দা শকুন্তলা দত্ত এই তিনজনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বাড়ির প্লান পাস করানোর জন্য পুরসভায় গিয়েছিলেন। সেখানে পুরসভার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ঘুষ না দিলে বাড়ির প্ল্যান পাস করানোর ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি সবমিলিয়ে এক লক্ষ টাকা ওই আধিকারিক ও কর্মীদের দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলা যে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা হলেন পুরসভার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মধুশ্রী দাস, প্ল্যানার সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সহযোগী বিশ্বজিৎ সরকার। এর ভিত্তিতে পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিকের পাশাপাশি জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে পুরসভা। সেক্ষেত্রে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মধুশ্রী দাস। তিনি বলেন, ‘টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমি ওই মহিলার সঙ্গে শুধুমাত্র প্ল্যানারের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। তারপরেও অভিযোগে কেন আমার নাম দেওয়া হল তা জানি না। আমাকে হেনস্তা করা হচ্ছে।’ এ বিষয়ে বিশ্বজিৎ জানান, ‘ওই মহিলার কাগজে কিছু খামতি ছিল, তা ঠিক করার জন্য আমাদের বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছে।’