ঘুষ প্রদানকারীর বিরুদ্ধেও আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের অধীনে মামলা রুজু করা যায়। এমনই পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত একটি মামলায় মাদ্রাস হাই কোর্ট ঘুষ প্রদানকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে পিএমএলএ-র ধারায় রুজু হওয়া মামলা খারিজ করেছিল। তবে উচ্চ আদালতের সেই রায়কে পালটে দিল শীর্ষ আদালত।
এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলে, ‘ঘুষ দেওয়ার অভিপ্রায়ে কাউকে টাকা দেওয়ার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি অপরাধের সাথে জড়িত হচ্ছেন। অপরাধমূলক কার্যকলাপে সহায়তা করার কথা জেনেশুনেই ঘুষ দেওয়া হয়। এই ধরনের ঘটনায় ঘুষ প্রদানকারীর সক্রিয় অংশগ্রহণই অপরাধের সূচনা ঘটায়।’ আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ৩ নং ধারা অনুযায়ী ঘুষ প্রদানকারীও বিচার হতে পারে এই আইনের আওতায়।
উল্লেখ্য, পদ্মনাভন কিশোর নামক এক ব্যক্তি এক সরকারি আধিকারিককে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ধারা এবং ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৭, ১২, ১৩(১)(ডি) এবং ১৩(২) ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছিল ঘুষ প্রদানকারী পদ্মনাভনের বিরুদ্ধে। পিএমএল আইনের ৩ এবং ৪ নং ধারায় মামলাটি রুজু হয়েছিল। যদিও মাদ্রাস হাই কোর্ট পদ্মনাভনকে ইডি-র পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রিট পিটিশনের অনুমতি দেয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে পিএমএলএ-এর মামলা খারিজ করে। হাই কোর্টের যুক্তি ছিল, ঘুষের ৫০ লাখ টাকা যতক্ষণ পদ্মনাভনের হাতে ছিল, ততক্ষণ তা ‘কলঙ্কিত’ ছিল না। কারণ সেই অর্থ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উপার্জন করেননি পদ্মনায়বন। তবে সুপ্রিম কোর্ট বলে, পদ্মনাভন ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে এই অপরাধের সূচনা ঘটান।