বঙ্গ–বিজেপির সংগঠনের যা হাল তাতে নেতাদের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই বাংলায় আসছেন অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডা। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটে বছরের শুরুতেই জানুয়ারি মাসে বাংলার চারটি লোকসভা কেন্দ্রে সভা করবেন দু’জনে বলে সূত্রের খবর। ২০২৩ সালেই হবে পঞ্চায়েত ভোট। তারপর আছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। এই দুই নির্বাচনকে সামনে রেখে অমিত–নড্ডা জুটি প্রচারে আসছেন বাংলায়। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হয়েছে? বিজেপি সূত্রে খবর, গোটা দেশে ১৪৪টি লোকসভা আসনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে লোকসভা আসনগুলিতে সুবিধা করতে পারেনি সেখানে এবার জোর দেওয়া হবে। তার মধ্যে বাংলার ২৪টি লোকসভা আসন রয়েছে। এই ২৪টি লোকসভা আসনের জন্য পৃথক কৌশল নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রের জন্য একজন করে সাংসদকে আগেই দায়িত্ব দিয়েছে তারা। ওই কেন্দ্রগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম নিয়ে প্রচার করা হবে। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির অনেক সাংসদই টিকিট পাবেন না।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা রিপোর্ট পেয়েছেন। সেই রিপোর্টে বাংলার সংগঠনের হাল তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বুথস্তরের অবস্থা খুব শোচনীয়। এবার গোটা পরিস্থিতি বুঝতে আসছেন অমিত–নড্ডা। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। তাই আহামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দফায় দফায় বাংলায় এসে বাছাই করা লোকসভা আসন এলাকায় সভা করবেন অমিত–নড্ডা জুটি বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? আগামী ৭ জানুয়ারি রাজ্যে আসছেন জেপি নড্ডা। রিপোর্ট হাতে নিয়েই বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের কড়া প্রশ্ন করবেন তিনি। এরপর ২০২৩ সালে বাছাই করা ২৪ আসনেই প্রচার চালাবে এই জুটি। মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবারের মতো বাছাই করা সবচেয়ে কঠিন আসনগুলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বছরই সভা করবেন বলে জানা গিয়েছে। অমিত শাহ কলকাতায় আসবেন ১৭ জানুয়ারি। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুর এবং হুগলির আরামবাগে সভা কববেন। আর জেপি নড্ডার দিন–তারিখ এবং সভাস্থল এখনও চূড়ান্ত হয়নি।