ক্যানিংয়ের তিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে গুলি করে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় আফতাবউদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার গ্রেফতার করা হল এবাইদুল্লা মণ্ডলকে। এই নামটি মৃত স্বপন মাজির পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছিল অভিযোগে। এবাইদুল্লা মণ্ডলকে ধাওয়া করে জয়নগর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল দুই।
ঠিক কী ঘটেছিল ক্যানিংয়ে? একসপ্তাহ আগে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন স্বপন মাজি, ঝন্টু হালদার এবং ভূতনাথ প্রামাণিক। তখনই রাস্তায় তাঁদের গুলি করে কুপিয়ে খুন করা হয়। এই খুনের তদন্তে গঠিত হয় পাঁচ সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)। তারপরই ক্যানিংয়ে তিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মী খুনের তদন্তে নেমে আফতাবউদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই ঘটনার তদন্তে নেমে আফতাবউদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করা হয়। কারণ এই ব্যক্তির দাদার নাম এফআইআর–এ আছে। সে বসির শেখের দাদা। এই অভিযুক্তকে কুলতলি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই আফতাবউদ্দিনকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তার উপর ভিত্তি করেই এবাইতুল্লা মণ্ডলকে এবার গ্রেফতার করা হল।
ঠিক কী উঠে আসছে তদন্তে? তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, এই খুন পূর্ব পরিকল্পিত। এদের গতিবিধির উপর তীক্ষ্ম নজর রাখা হয়েছিল। যে কাজটি করেছিল আফতাবউদ্দিন। এমনকী পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য খুনের ষড়যন্ত্রকারীদের দিতে থাকে আফতাবউদ্দিন। মোটরবাইকে চড়ে তাঁকে অনুসরণও করতে থাকে সে। এরপর ধর্মতলার পিয়ার পার্কের কাছে খুন করা হয়। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবাইদুল্লা।