অনুব্রত মণ্ডল এখন সিবিআই হেফাজতে। আদালতে মামলা চলছে। অথচ তাঁর টাকা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মামলা চালাতে গেলে টাকার প্রয়োজন। এখন আবার ইডি যদি হেফাজতে নেয় তাহলে তদন্তের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে যাবে। সেখানে মামলা লড়তে গেলে আরও টাকার প্রয়োজন হবে। এখন প্রশ্ন, সেটা কে দেবে?
সিবিআই কতটা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে? অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা–সহ ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। ১৭ কোটি টাকার আমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আর যাদের অ্যাকাউন্টে হাত পড়েনি সে সব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খরচ হলে খোঁজখবর শুরু হবে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি তদন্ত করলে মামলা প্রক্রিয়া দীর্ঘ হতে পারে। নয়াদিল্লিতে এমন আইনজীবী প্রয়োজন, যাঁর সিবিআই–ইডি সংক্রান্ত মামলা সামলানোর অভিজ্ঞতা আছে। সেটার খরচ বিপুল। সেই টাকা আসবে কোথা থেকে? উঠছে প্রশ্ন।
তৃণমূল কংগ্রেস কী করছে? অনুব্রত মণ্ডল এখনও বীরভূম জেলার সভাপতি। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর শনিবারের সভা থেকে সাংসদ শতাব্দী রায় জানিয়েছেন, এখন কেষ্টর পাশে সবাইকে থাকতে হবে। দলও আছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে টাকা কি দল দেবে? যদিও এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, আইনজীবী দিয়ে সাহায্য করা হতে পারে। এই বিষয়ে যোগ্য আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য কী? এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘টাকার একটা চিন্তা তো রয়েছে। তবে তারও পথ বের করা হচ্ছে। দলীয় তহবিল থেকে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা, বিধায়কদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এক তহবিল করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে সকলকে বলা হচ্ছে, সে টাকার যেন হিসাব দেওয়া কঠিন না হয়।’