গরুপাচারকাণ্ডে জেলবন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বীরভূমের বাঘ’ বলে উল্লেখ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার বীরভূমের রামপুরহাটে এক দলীয় সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। ফিরহাদের এই মন্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের জিরো টলারেন্স নীতির কী হল?
গরু ও কয়লাপাচারকাণ্ডে জেলবন্দি অনুব্রতর একের পর এক কীর্তি ফাঁস করছে সিবিআই – ইডি। গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। দিল্লিতে ইডির জেরার মুখোমুখি হয়েছেন তাঁর মেয়ে। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বিপুল আয় বহির্ভূত সম্পত্তি। অনুব্রত, সায়গল ও অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ও ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান পেয়েছে ইডি। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার কেষ্টর পাশেই দাঁড়াল দল।
এদিন ফিরহাদ বলেন, ‘বনের বাঘ না থাকলে শিয়ালরা লাফালাফি করে। বাঘ ফিরে এলে শিয়ালরা লেজ গুটিয়ে পালায়। বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছুদিনের জন্য খাঁচায় রেখেছো। সারাজীবন আটকে রাখতে পারবে না। বাঘ বেরিয়ে এলে শিয়ালরা সব খাঁচায় ঢুকে যাবে।’
এদিন অনুব্রতর লটারিলাভ তদন্ত নিয়েও মুখ খোলেন ফিরহাদ। বলেন, ‘তৃণমূলের সবাইকে চোর বলার অধিকার নেই বিজেপি-র। লটারি কেন পেল? আরে ভাই, তোমাকে খোঁজ নিতে হবে না। ভগবানকে বল ভাগ্য ফেরাতে। এগুলোকে বলে খিল্লিপনা।’