ফের অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ভুয়ো গাঁজা কেসে ফাঁসানোর অভিযোগ করলেন এক ব্যবসায়ী। শনিবার এই অভিযোগ করেন বীরভূমের দুবরাজপুরের ঘাটগোপালপুরের ব্যবসায়ী মোহাতার খান এই অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, তৃণমূল করতে অস্বীকার করায় তাঁকে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে ১৮৪ দিন জেল খাটিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও ছেলেকে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
মোতাহার খানের দাবি, জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করেন তিনি। কিন্তু ২০১৭ সালে অনুব্রতর দুর্নীতি দেখে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এর পর লাগাতার হুমকি দিতে শুরু করেন অনুব্রত। তৃণমূলে না ফিরলে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে সে। ২০১৮ সালে তাঁকে জোড়া গাঁজা কেসে ফাঁসান অনুব্রত। যার জেরে তাঁকে মোট ১৮৪ দিন জেলবন্দি থাকতে হয়। এমনকী তাঁর ছেলে ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বেনামে কতগুলো চালকলের মালিক অনুব্রত, জানতে তদন্ত শুরু করল CBI
মোতাহার খান বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও আমাকে ফোন করেছিলেন অনুব্রত। বললেন, তৃণমূলে না গেলে আবার গাঁজাকেস দেবে। ওর গ্রেফতারিতে আমি খুশি। আমি মন থেকে একজন বিজেপি সমর্থক।’
এর আগেও অনুব্রতর বিরুদ্ধে একাধিকবার গাঁজা কেসে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সিউড়ির এক গাড়ি ব্যবসায়ী দাবি করেন, তাঁকে গাঁজা কেসে ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছেন অনুব্রত। বাদ যাননি বিচারকও। অনুব্রতর জামিনের আবেদনের শুনানি যে আদালতে হচ্ছে তাঁর কাছে পরিবারের সদস্যদের গাঁজা কেসে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে পৌঁছেছে চিঠি। ভাইরাল হওয়া একটি পুরনো ভিডিয়োয় তৃণমূলের এক বৈঠকে এক মহিলা নেত্রীকে গাঁজা কেসে ফাঁসানোর পরামর্শ দিতে শোনা গিয়েছিল অনুব্রতকে।