সিবিআই হেফাজত শেষে আজ, বুধবার আসানসোল আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তখন খিদে পেয়েছে বলে তিনি জানান সিবিআই অফিসারদের। গাড়ি থামাতে বলেন শক্তিগড়ে। আর শক্তিগড় ধাবায় গাড়ি থামতেই ঢুকে পড়লেন অনুব্রত মণ্ডল। মুড়ি দিয়েই শুরু করলেন প্রাতঃরাশ। জলখাবারের মেনুতে ছিল কচুরি এবং পরে চা। তবে তিনি শক্তিগড়ের বিখ্যাত মিষ্টি ল্যাংচা খেতে পারলেন না। কারণ তাঁর সুগার রয়েছে।
কেন শক্তিগড়ে থামল সিবিআইয়ের গাড়ি? জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের গাড়িকে এখানেই থামতে বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। কারণ তিনি এখানে প্রাতঃরাশ করতে চান। যেহেতু অনেক সকালে তাঁকে নিয়ে সিবিআই রওনা হয়েছিল তাই প্রাতঃরাশ করার সময় পাওয়া যায়নি। এখানের একটি বাতানুকূল রেস্তরাঁয় ঢোকেন তিনি। যেখানে প্রাতঃরাশ করে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানান। সূত্রের খবর, সিবিআই অফিসারকে অনুব্রত বলেন, ‘বড় ভালই খেলাম। শুরুটা বেশ ভালই হল।’
কী ছিল কেষ্টর মেনুতে? এদিন ধাবায় বেশ আত্মবিশ্বাসী মেজাজেই দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। চেহারায় ক্লান্তি বা দুশ্চিন্তার ছাপ ছিল না। ধাবা থেকে বেরতেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কী ছিল প্রাতঃরাশে? তখন তিনি বলেন, ‘মুড়ি খেলাম। কচুরিও খেলাম বেশ কয়েকটি। চা পান করেছি। এখন বেশ লাগছে।’ তবে শক্তিগড়ের ধাবায় পা রাখলেও মিষ্টি খাওয়া হয়নি তাঁর।
আর কী ঘটেছে সেখানে? অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে সিবিআইয়ের গাড়ি দাঁড়াতেই শক্তিগড়ের ওই ধাবার সামনে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ কেউ ছবি তোলেন। বাতানুকূল রেস্তোরাঁয় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যাতে কেউ সেখানে ঢুকতে না পারে। তাই বাইরেই ভিড় জমেছিল। অনেকেই সেখানে বলে ওঠেন, ‘কেষ্ট দাকে একঝলক দেখতে এসেছি। আপনারা সরে যান। একবার দেখতে দিন।’