শনিবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামা এক যুবক ও দুজন যুবতীর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয়েছিল রেলপুুলিশের। এরপরই ওই তিনজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলা শুরু করতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে দুই যুবতী। এরপরই ওই দলে থাকা এক যুবককে আটক করে রেলপুলিশ। অপর দুই যুবতীকেও আটক করে জেরা করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে ধৃত যুবকের নাম জাহিরুল ইসলাম। অসমের বদরপুর থেকে কলকাতায় যাচ্ছিল তারা। এদিকে পুলিশের জেরায় ধৃত জহিরুল জানিয়েছে সে আদতে অসমের বাসিন্দা। যে দুজন যুবতী তার সঙ্গে ছিল তারা বাংলাদেশের কক্সবাজারের বাসিন্দা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় বলে জানিয়েছে ধৃত যুবক। তাদেরকে কলকাতার এক ব্যক্তির কাছে মোটা টাকায় বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এজন্য অগ্রিম কিছু টাকা সে নিয়েছিল বলেও অভিযোগ।ধৃতের কাছ থেকে নকল আধারকার্ডও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
কিন্তু কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এল তারা? পুলিশের জেরায় জহিরুল জানিয়েছে চলতি মাসেই অসম- বাংলাদেশ সীমান্তের করিমগঞ্জ দিয়ে তারা এদেশে ঢুকেছিল। ওই যুবতীদের ভুয়ো পরিচয়পত্রও তৈরি করে দিয়েছিল সে। কিন্তু ওই যুবক আদতে অসমের বাসিন্দা কিনা তা নিয়ে সংশয় দানা বেঁধেছে। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দাদের ধারণা ওই যুবক রোহিঙ্গা হতে পারে। নারী পাচারের এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।