Bankura BJP: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তোলাবাজ তোপ! সুকান্তকে নিয়েও 'বেফাঁস' বিজেপি বিধায়ক, ভাইরাল অডিও

তবে কি কৌশলে এই অডিও ক্লিপটি ভাইরাল করা হল? এদিকে অডিও বার্তায় বলতে শোনা যায় যে এ রাজ্যে দল এখন বিদ্যার্থী পরিষদের লাইনে চলছে। তাই বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের সংগঠনের পদে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর সুভাষ সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। এই দুজনকে নিশানা করে তির ছুঁড়েছেন বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা। একটি অডিও ক্লিপকে ঘিরে অভিযোগ উঠেছে। বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে পুরোটাই অভিযোগ। একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে সেই ফোনের অডিওকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে এই ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন।

এদিকে ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, আমাদের সাংসদ তথা মন্ত্রী চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে পর্যন্ত তোলা আদায় করেন। ভদ্রতার মুখোশের আড়ালে তিনি সর্বত্র এমন কাজ করছেন। সেই সঙ্গেই শোনা যায় একবার শুধু নিলাদ্রীর নামটা ঘোষণা হয়ে যাক। তারপর পাগলা ভোট হবে। কিন্তু সেই জায়গায় লকেট বা সুভাষদাকে দিলে কর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না।

তবে এবার প্রশ্ন তবে কি কৌশলে এই অডিও ক্লিপটি ভাইরাল করা হল? এদিকে অডিও বার্তায় বলতে শোনা যায় যে এ রাজ্যে দল এখন বিদ্যার্থী পরিষদের লাইনে চলছে। তাই বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের সংগঠনের পদে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক দক্ষতা যাদের আছে তাদের কিছু জানতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই সঙ্গেই অডিও বার্তায় বলা হয়েছে, শুধু মোদীর হাওয়ায় ভোটে জেতা যাবে না। ভোটে জিততে হলে কর্মীদের চাই। সুকান্ত মজুমদার বাঁকুড়ার মাটিকে কতটা চেনেন? কবার তিনি বাঁকুড়ায় এসেছেন?

এদিকে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, যদি ওই অডিয়োর সত্যতা থেকে থাকে তবে বলতে বিধায়ক বিজেপির একজন উচ্ছৃঙ্খল বিধায়ক। আর এই রকম কথা বলার অর্থ হল বক্তা নিজের উচ্চাশা পোষণ করছেন। তিনি নিজের মনোনয়নের কথা লোকের কাছে বলছেন। তবে নিলাদ্রীশেখর দানার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে বিজেপির অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নানা ঘটনা পরম্পরায় বিজেপির ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে তবে কি নিলাদ্রীশেখরকে যাতে ওই কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয় সেটা নিয়ে চাপ দেওয়ার জন্যই কি এই কৌশল নেওয়া হল? নাকি এর পেছনে অন্য় কোনও কারণ রয়েছে?