আজ, রবিবার বাঁকুড়া সদর থানার পাতাকোলা মহাশ্মশানে সকালে একটি রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই মৃতদেহকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এই ঘটনার পর বাঁকুড়া–বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়কে পথ অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতি জটিল আকার নেওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাতে নাইট ডিউটিতে ছিলেন। সেখানেই সকালে উদ্ধার হল নৈশপ্রহরীর রক্তাক্ত দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর আলোড়ন পড়েছে বাঁকুড়ার পাতাকোলা এলাকায়। ক্ষোভের বাতাবরণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম নাজু দালাল (৬৫)। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এই এলাকায় নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি কেঠারডাঙ্গা এলাকায়। সেখানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কালীপুজোর আগের রাতে শ্মশানের নিরাপত্তারক্ষীর রহস্যমৃত্যু ঘটল কী করে? উঠছে প্রশ্ন। শ্মশান থেকে ২০ ফুট দূরে নৈশপ্রহরীর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাঁকুড়ার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিশকে দেহ উদ্ধারে তাই বাধা দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম নাজু দালাল (৬৫)। তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি খুন নাকি আত্মহত্যা—সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ দর্জি–সহ পুলিশ কর্তারা। কারণ এখানে দেহ নিতে দিচ্ছিলেন না বাসিন্দারা। তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়ে পথ অবরোধ করেন। পুলিশ প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর মৃতদেহ তুলতে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ইতিমধ্যেই গোটা এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পরিবারের লোকজনের দাবি, দোষীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করতে হবে।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরি পার করল জবার মালা, কালীপুজোয় তুঙ্গে উঠল চাহিদা, ছ্যাঁকা খাচ্ছেন জনতা
আর কী জানা যাচ্ছে? রবিবার সকালে পাতাকোলা এলাকায় রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। নাজু দাললকে খুন করা হয়েছে বলে বাসিন্দারা চাউর করে দেন। এই খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাতাকোলা দ্বারকেশ্বর সেতুর উপর জাতীয় সড়ক অবরোধও করা হয়। বহুক্ষণ ধরে চলে বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনার পর মৃতের ছেলে বলেন, ‘বাবা অনেকদিন নাইট গার্ডের কাজ করেন। এলাকার অনেক জায়গাতেই রাতে পাহারা দিতেন। এদিনও ডিউটিতে ছিলেন। আমার দাদার কাছে আগে খবরটা গিয়েছিল। ওর কাছ থেকেই জানতে পারি বাবাকে খুন করে এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কিছু বুঝতে পারছে না। রাতে তো এখানে পুলিশ ঘোরাফেরা করে।’