সরকার তো মন্দির বানাচ্ছে, রেলের রক্ষণাবেক্ষণ কখন করবে? বর্ধমান স্টেশনে আজ ট্যাঙ্ক ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর এমনই ভাষায় কেন্দ্রকে আক্রমণ শানালেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক খোকন দাস। আজ দুর্ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রেল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই দেখছে না। (আরও পড়ুন: আধুনিকীকরণে খরচ হওয়ার কথা ৬৪ কোটি! সেই বর্ধমান স্টেশনেই বারবার ঘটেছে দুর্ঘটনা)
আরও পড়ুন: 'GST-র এক টাকাও বকি নেই, ৪ বছরে AG-র কোনও রিপোর্ট দেয়নি বাংলা', বললেন নির্মলা
বর্ধমান স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরপরই আজ সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিল বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে উদ্ধারকাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের জানান, দমকলের থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, ঘটনাস্থলেই দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। এই আবহে সাবাদিকরা খোকনবাবুকে জলের ট্যঙ্কের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন করেন। এর জবাবে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'রক্ষণাবেক্ষণ তো হয়ই না। রক্ষণাবেক্ষণ কখন হবে? আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার গোটা দেশে মন্দির তৈরি করবে। কে দেখবে এই সব রেল। কিছু কী দেখছে? এর আগেও বিল্ডিং ভেঙে পড়ে যায় এই স্টেশনে। কিছুই দেখে না। আজ প্ল্যাটফর্মে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল। কেন্দ্রীয় সরকার কোথাও কিছুই দেখছে না।'
আরও পড়ুন: ১৫ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত BJP বিধায়ক, পাঠানো হল জেলে
উল্লেখ্য, আজ ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা জলের ট্যাঙ্ক ফেটে গুরুতর ভাবে আহত হন অন্তত ২৭ জন যাত্রী। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩ জনের। জানা গিয়েছে, জলের ট্যাঙ্কটি দুপুর ১২টা ৮ মিনিট নাগাদ ভেঙে পড়ে। প্ল্যাটফর্মের শেডের ওপর ভেঙে পড়ে ট্যাঙ্কের লোহার অংশ। এর জেরে গুরুতর আহত হন অপেক্ষারত যাত্রীরা। পরে শেডের ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকে উদ্ধার করে বেশ কয়েকজন যাত্রীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে এই দুর্ঘটনার জেরে রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালে বর্ধমান স্টেশনেরই মূল ফটক ভেঙে পড়ে দুই যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছিলেন। একজন মারা গিয়েছিলেন। সেই ঘটনার তিন বছর পর আবারও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটল এই প্রাচীন রেল জংশনে।