তিনি টেলিপর্দার 'দিদি নম্বর ওয়ান'। আর এবার সেই 'দিদি নম্বর ওয়ান' রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেমেছেন ভোটের ময়দানে। হুগলি থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়ছেন রচনা। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই জোর কদমে চলছে ভোটপ্রচার। হুডখোলা গাড়িতে হুগলির বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে চলছে প্রচার।
প্রচার চলাকালীন কেউ কখনও রচনাকে ঠাণ্ডা জল, কখনও বা পানীয় এগিয়ে দিচ্ছেন। কেউ ভালোবেসে দিচ্ছেন বাড়ির তৈরির খাবার। তবে তাঁদেরই রচনা বিনয়ের সঙ্গে বলছেন, অনেক খাওয়া হয়ে গিয়েছে, পরে একদিন। শুক্রবারই চন্দননগরে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন রচনা। তবে সেখানকার বিখ্যাত জলভরা সন্দেশ তাঁর খাওয়া হয়ে ওঠেনি। হেসে রচনা বলেন, ‘চন্দননগরের জলভরা সন্দেশ আমার খাওয়া হয়নি, পরে খাব।’
শুক্রবার প্রচণ্ড গরম আর চড়া রোদের মধ্যেই শুক্রবার চন্দননগর বিধানসভা এলাকায় প্রচার ও জনসংযোগ করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টেশনরোড কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে চন্দননগর পুরনিগমের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত তিনি প্রচার করেন। ঢাক বাজিয়ে লক্ষ্মীভাণ্ডার হাতে নিয়ে চলে শোভাযাত্রা। শিল্পের শহর চন্দননগরে কী বার্তা দিতে চান? এপ্রশ্নে রচনা বলেন, এখনও বার্তা দেওয়ার সময় আসেন, এখন শুধুই প্রচারের সময়।
হুগলিতে প্রচারে বের হয়ে জেলার খাবার দাবারের প্রশংসা করেন 'দিদি নম্বর ওয়ান' রচনা। কখনও তিনি সিঙ্গুরের দই খেয়ে প্রশংসা করেন, কখনও আবার ঘুগনি মুড়ি খেয়ে মুগ্ধ হন। এক কর্মীর বাড়িতে গিয়ে আলু পোস্ট চেয়েও খেয়েছেন রচনা। তবে রচনা নিয়ে মিমও কিছু কম হয়নি। তবে শুক্রবার খাওয়ার কথা উঠতেই রচনা বলেন, ‘আর খেতে পারছি না, অনেক খাওয়া হয়ে গিয়েছে।’