কিছু কিছু সরকারি আধিকারিক জমি কেনাবেচায় জড়িয়ে পড়ছেন। এই অভিযোগ তুলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে বিভিন্ন পরিষেবা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে রাজ্য শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'আমার কাছে খবর আছে জমি নিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। কয়েকজন বিএলআরও কিছু দুষ্টলোকের সঙ্গে মিলে জমি কেনাবেচায় জড়িয়ে পড়ছেন।' তিনি এ নিয়ে ভূমি রাজস্ব বিভাগের সচিবকে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'একটা রাজনৈতিক লোক পাঁচ টাকা চুরি করলে বিশ বার টিভিতে দেখানো হয়। কিন্তু একজন অফিসারও জড়িত থাকলেও তাঁকে কিন্তু আমি ছেড়ে কথা বলব না। কারণ একজনের জন্য সকলের বদমাম যাতে না হয় এটা মাথায় রাখতে হবে। সব অফিসার কিন্তু খারাপ নয়।'
(পড়ুন। 'নেগেটিভ কথা বললে পজিটিভ ভাইব্রেশন নষ্ট হয়', ইতিবাচক হওয়ার শিক্ষা দিলেন মমতা)
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যটন ও অন্যান্য খুচরো ও মাঝারি শিল্প উন্নয়নের জন্য গত ৭ ডিসেম্বর মুখ্য়সচিব বৈঠক করেন। যার ফলে ২৪ হাজার কোটি টাকা উত্তরবঙ্গে বিনিয়োগ হচ্ছে। এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
(পড়ুন। সাক্ষাতে রাজি প্রধানমন্ত্রী, মমতার সঙ্গে কবে দেখা করবেন মোদী?)
এর আগে তিনি একাধিক চা বাগান রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করছে বলেন জানান। মঙ্গলবার তিনি অধিগ্রহণের বিষয়টি স্পষ্ট করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'আমরা ওই চা বাগানের জমি অধিগ্রহণ করে চা বাাগানের শ্রমিকদের পাট্টা দেব। কালচিনি-সহ দুটি চাবাগান খোলবার প্রস্তাব এসেছে। অমি বিষয়টি মুখ্যসচিবকে জানিয়েছি। চা বাগানে আমরা সবাইকে পাট্টা দেব। তবে কিছুটা সময় লাগবে। আস্তে আস্তে আমরা সবাইকে দেব। '