কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সময় চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাড়া দিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। জানা গিয়েছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর মমতার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রসঙ্গেত, গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দরবারে চিঠি পাঠিয়েছিল নবান্ন। সেখানে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা, আবাস যোজনার টাকা এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে টাকা আটকে রেখেছে সেটা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন মমতা। পরে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে সময় চেয়েছিলেন মমতা। (আরও পড়ুন: '৫০% ছাড়… সবচেয়ে সস্তায়…', রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে সংসদে বড় দাবি সরকারের)
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জোড়া ঝটকা অর্থ প্রতিমন্ত্রীর, ফাটালেন একের পর এক 'বোমা'
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ ডিসেম্বর নয়াদিল্লি সফরে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সফরকালেই মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন মততা। তার আগে অবশ্য বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপর ২০ তারিখ মোদীর সঙ্গে দেখা করে কলকাতায় ফিরবেন মমতা। এর আগে ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একদিন দেখা করার সময় চেয়েছিলেন মমতা। জানা যায়, কয়েকজন সাংসদকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ২০ তারিখ বেলা ১১টায় সংসদ ভবনে সাক্ষাৎ হতে পারে মোদী এবং মমতার।
আরও পড়ুন: বদলেছে পে ম্যাট্রিক্স, 'চিটিং করছে সরকার', চরম অসন্তুষ্ট রাজ্য সরকারি কর্মীরা
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য দিল্লিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে মন্ত্রীর দফতরে ধরনাতেও বসেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। বাংলার রাজনীতিতে 'বকেয়া টাকা' ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে লোকসভা ভোটে ফায়দা তুলতে চাইছে তৃণমূল। এই আবহে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কয়েকজন সাংসদকে নিয়ে নয়াদিল্লি যেতে চলেছেন তিনি। এই আবহে ১৮, ১৯ এবং ২০ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে একদিন তিনি সময় চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর কাছে। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'বাংলার প্রাপ্য টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আবাস যোজনা, গ্রামের রাস্তা, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্য থেকে জিএসটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কিন্তু রাজ্যের ভাগ দেওয়া হচ্ছে না। ওদের টাকা চাই না, অন্তত আমাদের ভাগের টাকা দিয়ে দিন। চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছি। সময় দিলে ভালো। না হলে যা করার করব।'