সপ্তাহান্তে হয়েছে। সোমবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। সেইসঙ্গে বর্ষা ঢুকে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গেও চলবে বৃষ্টি। তবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার জন্য আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ১১ জুন বঙ্গোপসাগরের তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপের উপর ভর করে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সোমবার দুপুর-বিকেল নাগাদ ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান ও হুগলির কয়েকটি অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। একইভাবে দুপুর থেকে বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের কয়েকটি প্রান্তে একইভাবে ঘণ্টা দুই-তিনেক হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। বিকেল-সন্ধ্যার দিক করে কলকাতা ও দুই পরগনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
অন্যদিকে, আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে বর্ষা ঢুকে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গের আটটি জেলায় বৃষ্টি হবে। সোমবার (আজ) দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পঙের কয়েকটি অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত (৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। মঙ্গলবার দার্জিলিং এবং আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে। দিনভর ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে মঙ্গলবার ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বুধবার কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার বৃৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বাকি সব জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।