ভাতারের বিধায়ক জানিয়ে দেন, ‘যা করব স্বচ্ছভাবে করব। হকার্স, ট্রেড ইউনিয়নের ওপর পরিষ্কার নজর রয়েছে। কোনওভাবেই টাকা তোলা যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দলের ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত কেউ যেন তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত না থাকেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথার প্রতিধ্বনিই পাওয়া গেল ভাতারের বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি মানগোবিন্দ অধিকারীর মুখে। শনিবার বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে এসে তিনি স্পষ্ট করে দেন, যাঁরা চট পেতে ব্যবসা করেন, শুনেছি তাঁদের কাছ থেকে নাকি টাকা নেওয়া হয়। এভাবে টাকা নেওয়া যাবে না।
এদিন ভাতারের বিধায়ক জানিয়ে দেন, ‘যা করব স্বচ্ছভাবে করব। হকার্স, ট্রেড ইউনিয়নের ওপর পরিষ্কার নজর রয়েছে। কোনওভাবেই টাকা তোলা যাবে না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে বিশ্বাসী। কেউ একচুল বেচুল করলে সব খবর চলে যাচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নের পিছনে লোক লাগানো আছে। আপনারা জানেন না কে আছে। আমি নিজেই বুঝতে পারছি না, আমার পিছনে কোন লোক লাগানো আছে। তাই স্বচ্ছভাবে কাজ করুন।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি নিজে টাকা তোলায় বিশ্বাস করি না। আমি নিজে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ছিলাম। কিন্তু কেউ বলতে পারবেন না একজন কন্ট্রাক্টরের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘হাসপাতালে ভালো করে ইউনিয়ন করুন। সেখানে প্রচুর দু'নম্বরি চলে। সেগুলিতে নজর দিন। সেখানে যেন সকলে চিকিৎসাটা ভালোভাবে পায়, সেদিকে নজর দিন।’
এদিন তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দলের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, বেআইনিভাবে টাকা তোলা যাবে না। কেউ মারা গেলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সবাই মিলে চাঁদা তুলে সাহায্য করতে পারেন। কিন্তু কোনওভাবে টাকা তোলা যাবে না। যাঁরা টাকা তুলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। বর্ধমান শহরে যাতে যানজট তৈরি না হয়, সেজন্য বাস মালিক ও ডিএসপির সঙ্গে বৈঠক করে বাস শ্রমিক রাখা হয়। এই বর্ধমান রুটে ২০০টা মতো বাস চলে। যানজট যাতে না হয়, সেজন্য ১৬টা ছেলেকে ২০০ টাকা করে দিয়ে রাখা হয়েছে। ছেলেদের মাইনে দিয়ে যে টাকা থাকে, সেটা দলের ফান্ডে যায় না বা কোনও ব্যক্তিগত ফান্ডে যায় না। শ্রমিকদের কল্যাণেই কাজে লাগে।