দেড় দশকেরও বেশি আগে সিঙ্গুর ছেড়ে চলে গিয়েছিল টাটা। সেই জমি আঝও পড়ে রয়েছে। এদিকে সেই সিঙ্গুর আন্দোলন থেকে উত্থান ঘটা তৃণমূল কংগ্রেস আজ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায়। বিগত কয়েক বছরে রাজ্যে শিল্পায়নের চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। তবে সিঙ্গুর থেকে টাটার বিদায় যেন 'গলার কাঁটা'। এই আবহে এবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল টাটাকে ফেরানোর বার্তা। (আরও পড়ুন: বাংলার ৩ আসনে জিততে পারে বাম, কঠিন লড়াই আরও তিনে, দাবি ISI অধ্যাপকদের সমীক্ষায়)
আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পুনরাবৃত্তি ভূপতিনগরে, হামলার শিকার NIA, উড়ে এল পাথর, আহত ২ অফিসার
আরও পড়ুন: স্টক মার্কেটে উত্থানের ফল, ২৮% সম্পদ বৃদ্ধি রাহুলের, কোন কোন শেয়ারে ঢেলেছেন টাকা
সিঙ্গুর প্রসঙ্গে ভোট প্রচারে গিয়ে লকেট বললেন, 'সিঙ্গুরের শিল্পকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাড়িয়ে দিয়েছেন বলে মানুষের মনে এখনও ক্ষোভ রয়েছে। তিনি সিঙ্গুরে শিল্প করতে ব্যর্থ। আবার সিঙ্গুরে ফিরতে টাটা ১০০ শতাংশ আগ্রহী আছে। তাই আমরা কথা দিয়েছি, যে সরকার এলে টাটাকেই আমরা ফিরিয়ে আনব এখানে। সত্যি কথা বলতে, বাংলায় শিল্পের পরিবেশ রয়েছে। কিন্তু এই সিন্ডিকেটবাজি, তোলাবাজি, তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে কেউ আসতে পারছে না।' (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীর সঙ্গে দুর্বব্যবহার পুলিশের, ছেঁড়া হল সরকারি কর্মীর পোশাক)
আরও পড়ুন: AI ব্যবহারে ভারতের লোকসভা ভোটে কলকাঠি নাড়তে চায় চিন, বিস্ফোরক দাবি মাইক্রোসফটের
এদিকে লকেটের এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'আগে উনি আসুক। তারপর টাটা আসুক। তারপর আপনি ক্যামেরা নিয়ে আমার কাছে আসবেন। ৫ বছর আগে আনলেন না, হঠাৎ ৫ বছর পর এই লোকসভা ভোটের সময় মনে পড়ল টাটার কথা? ৫ বছর আগে টাটার কথা মনে পড়ল না? তিনি মনে হয় টাটার স্বপ্ন দেখেছেন রাত্রিবেলা। টাটাকে সিঙ্গুর থেকে তাড়ানোর কথা যদি ওঠে, তাহলে সেই সময় সেখানে তো বিজেপি নেতা রাজনাথ সিংহ একই মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই ছিলেন। ফলে আগে সেই উত্তরটা তো দিতে হবে। তখন তাহলে টাটাকে তাড়ানোর ক্ষেত্রে বিজেপি কী ভূমিকা পালন করেছিল? তারপর তো আবার এখানে কারখানা তৈরি করার কথা উঠবে, টাটার সঙ্গে কথা বলার বিষয় আসবে।'
এদিকে সম্প্রতি সিঙ্গুরের জমি নিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, 'সিঙ্গুরের সবুজ জমি গাছপালায় ভরতি। সেই গাছ খেয়ে গরু হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে আর ভালো দুধ দিচ্ছে। সেই দুধের দইও তাই ভালো।' তাঁর এই মন্তব্যকে 'গরুর রচনা' বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। এই আবহে নিজের সেই মন্তব্যের ব্যখ্যাও দিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'যে গরম পড়ছে, তাতে পরিবেশ রক্ষার্থে আরও বেশি গাছ লাগানো উচিত, আরও বেশি সবুজায়ন দরকার। এই কথাটাই সেদিন বলতে চেয়েছিলাম, যেটা নিয়ে সবাই এত মিম করলেন, এত ভাইরাল হল। আমি বলতে চেয়েছিলাম, সিঙ্গুরে এত সবুজায়ন। সেই জমিতেই ঘাস খাচ্ছে গরু। আবার এই জমিরই ফসল আমরা খাচ্ছি। এই এলাকায় যাঁরা থাকেন, তাঁরা সবাই সিঙ্গুরের জমির ফসল খান। তবে আম মন থেকে যেটা মনে করি, সেটাই বলে থাকি।'