জিটিএ নির্বাচনের মুখেই বিনয় তামাং তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। কার্শিয়াংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক রোহিত শর্মাও যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। কিন্তু বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে বিমল গুরুং একসঙ্গে পথ চলবে তো? পাহাড়ের বুকে এখন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। রবিবার সেই ধোঁয়াশার উত্তর স্পষ্ট করে দিয়ে বিনয় তামাং বলেন, ‘গুরুংয়ের সঙ্গে এক হয়েই পাহাড়ে লড়ব।’
পাহাড় যখন গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে জ্বলছিল তখন নবান্নে গিয়ে বিনয় তামাং পিছন থেকে ছোড়া মেরেছিল। তখন এমনই দাবি করেছিলেন বিমল গুরুং। যার জেরে তাঁকে গা–ঢাকা দিতে হয়। এখন তিনি ফিরে এসেছেন পাহাড়ে। তারপরেই সাইড করে দেন বিনয়কে। যার জেরেই তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে হয়। এখন অবশ্য তিনি বলছেন, ‘আমি পাহাড়ে উন্নয়ন করতে চাই। সবাইকে বাঁচাতেই আমি এগিয়ে এসেছি৷ গোর্খাল্যান্ড ললিপপ দেখিয়ে cপাহাড়ের ভোটে ফায়দা তোলে। কিন্তু আমাদের কাজ উন্নয়ন করা। পাহাড়ে আমাদের মূল বিরোধী বিজেপি৷ আর বিজেপির সহযোগীরা আমাদের প্রধান বিরোধী।’ কিন্তু বিমলের সঙ্গে বিনয় চলতে পারবেন তো? উঠেছে প্রশ্ন।
শৈলশহরে যখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তখন রবিবার বিনয় তামাং বলেন, ‘বিমল গুরুংও তৃণমূল কংগ্রেসেরই জোটসঙ্গী। তাই আগামীদিনে পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন, বিকাশের জন্যে ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়ব আমরা। বিজেপিমুক্ত পাহাড় করব।’ বিজেপিকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘পদ্মশিবির বরাবরই পাহাড়বাসীকে বোকা বানিয়েছে। নির্বাচনের আগে গোর্খাল্যাণ্ডের জিগির তুলে ভোট বৈতরণী পার করে। এবার আর পাহাড় বিজেপিকে সমর্থন করবে না।’
বিমল–বিনয় সম্পর্ক বিভক্ত হয়ে থাকলে পাহাড়ে বিজেপি তার ফায়দা নিয়ে চলবে। আর তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হলে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস লাভবান হবে। এই অঙ্ক বুঝেই বিমল–বিনয়কে একছাতার তলায় নিয়ে আসা হল। তবে বিভিন্ন কৌশলে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। একুশের নির্বাচনে যেভাবে ভোট ভাগাভাগিতে দার্জিলিং এবং কার্শিয়াং আসন খুইয়েছে মোর্চা সেটা পছন্দ হয়নি তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই এবার তাঁদের একমঞ্চে এনে প্রতিপক্ষকে বার্তা দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।