জমি নিয়ে জটিলতায় আদালতে স্বস্তি পেলেন অর্মত্য সেন। নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর জমি দখল রাখার অভিযোগ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁকে উচ্ছেদের নোটিসও দেওয়া হয়। বিষয়টি গড়ায় আদালত অবধি। আদালত বিশ্বভারতীর নোটিশ বাতিল করে দিয়েছে।
অমর্ত্য সেনের আইনজীবী জানিয়েছেন, সিউড়ি জেলা আদালত বিশ্বভারতীর দেওয়া নোটিশ বাতিল করে দিয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন ওই নোটিসের কোনও ভিত্তিই নেই।
বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ১৩ ডেসিমেল জায়গা নিয়ে। বিশ্বভারতীর অভিযোগ ছিল যে জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে রখেছেন অমর্ত্য সেন। পাল্টা নোবেলজয়ীর দাবি ছিল পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ওই জমিতে বৈধ ভাবেই বাস করছেন তিনি।
পড়ুন। 'মালদায় ২ লোকসভা আসন দিচ্ছিলাম, কংগ্রেস বলল আরও অনেক চাই, আমি বললাম ১টাও দেব না'
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকাকালীন ওই নোটিস দেওয়া হয়। নোটিসে বলা হয় অবিলম্বে ১৩ ডেসিমেল জমি খালি করে দিতে, না হলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জোর করে উচ্ছেদের পথে হাঁটবে। এর বিরুদ্ধে সিউড়ি জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালত নোটিস বাতিল করে দিয়েছে।
অমর্ত্য সেনের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমরা জিতে গিয়েছি। অমর্ত্য সেনকে আর জায়গা ছাড়তে হবে না। বিচারকও এদিন উল্লেখ করেছেন, ওই নোটিসের কোনও ভিত্তি ছিল না।’
প্রসঙ্গত, এর আগে জমি ছাড়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতবছর ৬ মের মধ্যে তাঁকে ১৩ ডেসিমেল জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিস দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। জমি নিয়ে সিউড়ি জেলা আদালতে মামলা চলতে থাকে।
পড়ুন। সুন্দরবনে পর্যটকদের জন্য বিরাট নির্দেশিকা, প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ, বোতল ভুলেও নেবেন না
শান্তিনিকেতনে ১.৩৮ একর জায়গার উপর রয়েছে অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি। সেখানেই দীর্ঘ ৮০ বছর ধরে সেখানেই বসবাস করছে তাঁর পরিবার। বাড়িটি তৈরি করেছিলেন তাঁর বাবা আশুতোষ সেন। কিন্তু বিশ্বভারতীর অভিযোগ ছিল ১৩ ডেসিমেল জমি বেআইনি ভাবে দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন। এই জমি নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন চলে গত এক বছর ধরে।
খোদ মুখ্যমন্ত্রীও জমি বিতর্কে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি অমর্ত্য সেনের বাড়িতে এসে জানিয়ে দেন রাজ্য সরকারের নথি অনুযায়ী জমি নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। অবশেষে সিউড়ি জেলা আদালত জানিয়ে দিল অমর্ত্য সেনকে কোনও জায়গা ছাড়তে হবে না।