একুশের নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে ২ মে। তার একমাস কাটল না গেরুয়া শিবিরে ভাঙন দেখা দিল। আর তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করলেন ভূষণ সিং। শুক্রবার তিনি নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তখন যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা এখন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। হ্যাট্রিক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাহলে কী তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যাবেন? উঠছে প্রশ্ন। যদিও রাজনীতিতে দলবদল নতুন কোনও ঘটনা নয়। তার ওপর নির্বাচন বা ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে শিবির বদলানো জনতা স্বাভাবিক বলেই মেনে নিয়েছে। তবে এত দ্রুত ভুষণ সিংয়ের দল পরিবর্তন করা জনতাকে অল্প হলেও হতবাক করেছে। তবে তিনি জানান, আপাতত তিনি পরিবারকে সময় দিতে চান।
জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিনহাটা মহকুমার ভূষণ সিং শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। দ্বিতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক পথ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই ক্ষোভেই বিজেপিতে নাম লেখান তিনি। কিন্তু এখন দুশোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির থেকে পদত্যাগ করলেন। যা সংগঠনকে জোর ধাক্কা দিল বলে মনে করা হচ্ছে।