বিজেপি’র রাজ্য সভাপতির মতোই এবার বিজেপি’ রাজ্য সহ–সভাপতিও বেলাগাম ও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, এটাই কী বিজেপি’র সংস্কৃতি? মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু’র খাসতালুকে দাঁড়িয়ে বিজেপি’র রাজ্য সহ–সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে দিয়ে জুতো চাটানোর হুমকি দেন।
পুরুলিয়ার মানবাজারে মহামিছিলের পর হাসপাতাল মোড়ে দাঁড়িয়ে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একশ্রেণির পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছেন। তাঁদের আর থানায় রেখে কী লাভ! তাঁদের থানা থেকে তুলে জুতো চাটাব। যত কেস দেবে দাও। এক লক্ষ ৮০ হাজার মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আর ছ’মাস পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করা হবে। পুলিশ আর গুন্ডা তেরা কেয়া হোগা কালিয়া? যারা ভাবছে ভোট লুঠ করবে তাঁদের বলছি দিদির পুলিশ নয়, দাদার পুলিশ দিয়ে ভোট হবে।’
মানবাজারের ইন্দকুড়ি থেকে যে মিছিল করে বিজেপি সেখানের স্লোগানই ছিল ‘পরিবর্তনের লক্ষ্যে মহামিছিল’। এখানেই গত লোকসভা নির্বাচনে একমাত্র মানবাজার বিধানসভাতেই বিজেপি লিড নিতে পারেনি। তাই এবার বিধানসভা ভোটে মানবাজারকে ‘পাখির চোখ’ করেছে বিজেপি। আর এই মহামিছিল থেকেই রাজ্য সহ–সভাপতি রাজু বন্দ্যেপাধ্যায় এই মন্তব্য করেন। যা জেলাজুড়ে চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই মহামিছিল নিয়ে পালটা দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু। তিনি বলেন, ‘মানবাজার তৃণমূলের গড়। এখানকার মানুষজন ঘাসফুল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কিছু বোঝেন না। ফলে বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে কু’কথা বলে কিছু লাভ হবে না। সাধারণ মানুষ সবই জানেন, দেখছেন।’