বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগেই আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ‘গো হারা’ করার দাবিও জানালেন। আজ, শনিবার তমলুকের সভা থেকে কদর্য ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা। আজ কুণাল ঘোষ অধিকারী পরিবারের সম্পত্তির হিসাব প্রকাশ্যে নিয়ে আসায় চাপে পড়ে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই আজ কদর্য ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এদিকে বিরোধী দলনেতা আজ প্রকাশ্য মঞ্চে দাবি করেন, শুভেন্দু আতঙ্কে ভুগছেন তৃণমূল নেত্রী। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকে। আর দুর্নীতি ইস্যু তুলেও আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও এই দুর্নীতিগুলি আদালতে প্রমাণিত হয়নি। এই আবহে তমলুকের সভা থেকে শুভেন্দুর হুঙ্কার, ‘লোকসভা নির্বাচন আসছে। এই নির্বাচনে সমস্ত দুর্নীতিবাজদের হটাতে হবে। এদের পরিণতি কী হয় দেখতে থাকুন। এটাই মোদী সরকার। না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা। তাই লোকসভা নির্বাচনে এই আটা চোর, গম চোর, বালি চোর, কয়লা চোর তোলামূলীদের হারাতে হবে। এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন।’
অন্যদিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হতেই নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হলদিয়া, দিঘায় বেআইনি পথে জমি বিক্রির তদন্ত শুরু করার কথা বলেন। তাতেই ক্ষেপে ওঠেন বিরোধী দলনেতা। পাল্টা আয়কর রিটার্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে আক্রমণ শানান শুভেন্দু। জবাবে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কাগজে মুড়িয়ে যে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছিল সেটা তো দেখতে পেলাম না আয়কর রিটার্নে।’ তারপরই আজ, শনিবার শিশির অধিকারীর নির্বাচনী হলফনামা সামনে নিয়ে এসে সম্পত্তির গরমিল তুলে ধরেন কুণাল। তাতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত সার মিলল না কেন? এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া চিঠি পাঠাল নবান্ন
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? তমলুকের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে কদর্য ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন। শুভেন্দু কদর্য ভাষায় বলেন, ‘ওঁর আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শখ হয়েছে। ক্ষমতা থাকলে কাঁথি, তমলুকে আসুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার হারাব। বলে বলে হারাব। ডায়মন্ড হারবারে ভাইপোকে হারাব। অন্য় লোককে দাঁড় করিয়ে হারাব। বিজেপিকে জেতাব।’ এই মন্তব্যের জবাব অবশ্যই দেবেন মমতা–অভিষেক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে মামলা চলছে। সুতরাং শুভেন্দুর জয় নিয়ে এখনও প্রশ্ন আছে। আবার কাঁথি, তমলুক দুটি আসনের কথা উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। তাহলে কি তিনি প্রার্থী হচ্ছেন লোকসভা নির্বাচনে? উঠছে প্রশ্ন।