রাস্তার জন্য যে মার খেতে হবে সে কথা কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি বিজেপি কর্মী। তাও আবার দলের রাজ্যসভার সাংসদের কাছ থেকে। অবাক লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলেই সূত্রের খবর। সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করতে যান বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। কিন্তু সেখানে তাঁকে যাতায়াত করতে হয় সরু রাস্তা দিয়ে। তাতেই অনন্ত মেজাজ হারান বলে জানা গিয়েছে। আর মেজাজ হারিয়ে রণংদেহি মূর্তি ধারণ করেন। প্রকাশ্যেই এক কর্মীকে অনন্ত মহারাজ একের পর এক চড় মারতে থাকেন। সপাটে সেসব চড় খেয়ে হতবাক বিজেপি কর্মী। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
এই ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে। অনন্ত মহারাজ যান কোচবিহারের সীমান্ত এলাকা কুচলিবাড়ির জাবুরাবাড়িতে। সেখানে যেতে গিয়েই মেজাজ হারিয়ে এমন ঘটনা ঘটান বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি কর্মী জানান, সীমান্ত এলাকা পরির্দশন করতে আসেন অনন্ত মহারাজ। দলের এক কর্মীর বাড়িতে খাওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু যে বাড়িতে নৈশভোজ করার কথা ছিল সেখানে যেতে গিয়েই পড়েন সরু রাস্তায়। যেখানে সাংসদের গাড়ি আটকে যায়। আর তাতেই মেজাজ হারান অনন্ত মহারাজ। হঠাৎ এতটাই রেগে যান যে যিনি তাঁর কর্মসূচি তৈরি করেছিলেন তাঁকে একের পর এক চড় মারতে থাকেন।
ঠিক কী বলছেন বিজেপি সাংসদ? এই ঘটনার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন অনন্ত রায়। এই গোটা ঘটনাটি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই সংবাদমাধ্যমে অনন্ত মহারাজ বলেন, ‘ও আমার লোক। ওকে যা করতে বলা হয়েছিল সেটা করেনি। একটা প্রটোকল তো আছে। তাতে ছাড় দেওয়া যায় না। আমার লোক আমার সঙ্গে এরকম করলে হবে নাকি। কথায় বুঝিয়েছি। পরে ফিজিক্যালি বুঝিয়েছি। আমি জানতাম না ওই এলাকায় আমাকে নিয়ে যাবে। মানুষের আবেগ রয়েছে। তারা আমাকে ডাকছে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম খুবই বিপজ্জনক সীমান্ত এলাকা। গাড়ি ঘোরাবার রাস্তা নেই। আমি তো টেনশনে পড়ে ওকে বললাম, তোমাকে তো এখানে আনতে বলিনি। ও ঠিক করে জবাব দিতে পারছিল না। তা বলে ওকে শাসন করব না!’
আরও পড়ুন: একাধিক তথ্য চেয়ে পাঠাল নির্বাচন কমিশন, সমস্ত রিপোর্ট পাঠাতে চলেছে নবান্ন
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই ঘটনা উত্তরবঙ্গে চাউর হয়ে যেতেই হাতে অস্ত্র পেয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। আক এই ঘটনা নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘উনি স্বঘোষিত মহারাজ। ক্লাস এইট পাস মহারাজ। তাঁর যা করা উচিত ছিল সেটাই তিনি করেছেন। নিজেকে এতটাই বড় ভাবছেন যে সরু রাস্তা দিয়ে তাঁর মতো মহারাজ যাবেন সেটা ভাবতেও পারছেন না। তাই কর্মীকে শাসন করেছেন। সবার সামনে থাপ্পড় মেরেছেন। এরকম লোক রাজনীতিতে জায়গা পেয়েছে এটা আমাদের লজ্জার ব্যাপার। কোচবিহারের মানুষ যে বিষ গিলেছেন তার ফল এবার ভোগ করতে হবে। তবে বিজেপিকে মানুষ শিক্ষা দেবে।’