বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার বক্তব্যের সঙ্গে দল একমত নয়। কিন্তু তারপরেও তাঁর দাবি থেকে সরছেন না জন বারলা। বুধবার ফের বারলা জানিয়েছেন, ‘এই ইস্যু এবার দিল্লিতেও তুলব। বাংলাদেশীরা এবার আমাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে। মানুষ তখনই বাঁচবে যখন কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরবঙ্গকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করবে।’ ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনও বারলার দাবিকে সমর্থন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘বছরের পর বছর ধরে বঞ্চনার শিকার উত্তরবঙ্গ। তা থেকে মুক্তি পেতেই পৃথক রাজ্য চাইছেন তাঁরা।’ ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও একই সুর।
তবে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য জানিয়েছেন, ‘আমাদের দলের অবস্থানের সঙ্গে সাংসদের দাবি মিলছে না। আমরা বাংলাতে একটি রাজ্য হিসাবেই দেখতে চাই। তবে কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা এই কথা বলছেন সেটা আমার বুঝেছি। তবে এগুলি তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত।’ বারলাকে সতর্কও করেছেন তিনি।এমনটাই খবর দল সূত্রে।
তবে পুলিশ সূত্রে খবর গোটা পরিস্থিতিকে একেবারেই ভালো চোখে দেখছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কোভিড সংক্রান্ত ব্যাপারে বুধবার বিকালে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানেই জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের আধিকারিকদের তিনি রাজ্যভাগের এই প্রস্তাব নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। কেউ কোনওভাবে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে কড়া হাতে তা দমন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে এসবের মধ্যেই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের দাবি পশ্চিমবর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলির একাংশকে নিয়ে নতুন রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা দরকার। গোটা ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।