বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া, কেন এমন ঘটল?

বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া, কেন এমন ঘটল?

বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর রবিবার বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বামশোর গ্রামে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতারা। বামশোর গ্রামে আসার পর দেখা যায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক পরিবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারাও ছিলেন। তাঁরা সাংসদকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

বিজেপি বিধায়ক–সাংসদরা এখন যেখানেই যাচ্ছেন বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। কারণ এতদিন যে কথা বলে আসছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা এবার হাতে–গরম প্রমাণ হিসাবে দেখা দিল। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় সেই তথ্যই উঠে এল। তাই বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল থেকে শুরু করে সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া এখন বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। এই ট্রেন দুর্ঘটনার পর বাড়ি ফিরেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বামশোর, কালুত্তক গ্রাম মিলে বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক। এই আহত–জখম পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। আর এই গ্রামে পা দিতেই তাঁকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ।

কেন এমন বিক্ষোভ দেখানো হল?‌ এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে কাজ খুঁজতে গিয়েছিলেন। আর যাওয়ার পথেই এমন দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। অনেকে আবার সেখানে গত দু’‌বছর ধরে কাজ করছেন। কারণ এখানে একশো দিনের কাজ বন্ধ। আর বকেয়া টাকাও আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন পরিস্থিতিতে সংসার টানতে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, ‘‌একশো দিনের মজুরি বকেয়া, নতুন কাজ নেই। তাই এই রাজ্যের মানুষকে ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে। তাঁদের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে। তাই শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদকে।’‌ যদিও বিজেপি সাংসদ বিক্ষোভকারীদের সাফাই দিয়ে বলেন, ‘‌একশো দিনের প্রকল্পের হিসাব না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকাউন্টস বিভাগ টাকা আটকে রেখেছে। হিসাব দিলেই বকেয়া টাকা দেওয়া হবে।’‌

ঠিক কী ঘটেছে বর্ধমানে?‌ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর রবিবার বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বামশোর গ্রামে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতারা। বামশোর গ্রামে আসার পর দেখা যায় সেখানে বেশ কয়েকজন শ্রমিক পরিবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তবে সেখানে জেলার কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারাও ছিলেন। তাঁরা সাংসদকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আর একশো দিনের প্রকল্পে বকেয়া মজুরি দেওয়ার দাবি তোলেন।

ঠিক কী বলছেন বিজেপি সাংসদ?‌ এই বিক্ষোভের মুখে পড়ে হকচকিয়ে যান বিজেপি সাংসদ। তারপর দু’‌একজন শ্রমিকের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর সাংসদ এই বিক্ষোভ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও নেতারা আহত পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। তাঁদের আগে আমি চলে এসেছি। তাই রাজনৈতিক কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা ছিল তারা সবাই বাইরের। স্থানীয় গ্রামবাসীরা কেউ ছিলেন না।’‌ বিজেপি সাংসদের এই কথা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন,‘‌বিজেপি সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না। শুধু স্বার্থের রাজনীতি করে। একশো দিনের কাজ নেই। টাকা বকেয়া। এসব কারণে জেপির উপর মানুষ ক্ষোভ দেখিয়েছে।’‌

বন্ধ করুন