আজ, বুধবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপর দুষ্কৃতীদের হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বুধবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকে একটি দলীয় সভায় যোগদান করেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অভিযোগ, ওই সভা শেষ করে বালুরঘাটের দিকে ফিরছিলেন তিনি। তখন সেখানেই কিছু দুষ্কৃতী তার উপর হামলা চালায়। এমনকী সুকান্ত মজুমদারের দেহরক্ষীদের উপরেও আক্রমণ করা হয় বলে বিজেপি অভিযোগ করেছে।
এদিকে নয়াদিল্লিতে একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায় করতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ–মন্ত্রীরা। সেখানে তাঁদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপর থেকেই বাংলায় নানা জেলায় পথ অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। তাই বিজেপির অভিযোগ, এই হামলা তৃণমূল কংগ্রেসই করেছে। এই বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে হিলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার কড়া ভাষায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে হিলি বাসস্ট্যান্ডে দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় চায়ের দোকানে চা–খাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তখন কিছুটা দূরে নয়াদিল্লি কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ, সেই বিক্ষোভই আছড়ে পড়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির গাড়ির উপর। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা সুকান্তর গাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। দলীয় পতাকা হাতে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে সুকান্ত মজুমদার তাদের তাড়া করেন। সুকান্ত মজুমদারকে তারা চোর বলে সম্বোধন করে। গো–ব্যাক স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন: ‘দিল্লিতে ট্রেলার হয়েছে দু’মাস পর পুরো সিনেমাটা হবে’, প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
ঠিক কী বলছেন সুকান্ত? এই হামলার ঘটনাকে বালুরঘাটের সাংসদ দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘আমার গাড়ির উপর হামলা করে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। যতক্ষণ গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন–বিক্ষোভ করছিল আমি কিছু বলিনি। কিন্তু যখন দেখলাম আমার গাড়ির উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে, তখন আমি গাড়ি থেকে নেমে ওদের ধাওয়া করি। তাতে ওরা পালিয়ে যায়। আমাকে চোর বলা হয়েছে। তখন আমি ওদের চ্যালেঞ্জ করি এখনও করছি, তৃণমূল নেতাদের কারও যদি দম থাকে আমার বিরুদ্ধে একটা দুর্নীতি দেখাক। আমি আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সার্চ করার পর্যন্ত অনুমতি দিচ্ছি।’